২১। চোরাই মাল জেনেই কিনেছিস’ – চোরাই মালটি হলো——–?
= লোটা।
২২। সৌখীর মা সৌখীর দলের অনুচরদের সম্পর্কে কী বলেছে ?
= তার ছেলের দলের অনুচররা ছিঁচকে চোর,তালপাতার সেপাই।
২৩। সৌখী মেয়াদ শেষের আগেই জেল থেকে বাড়ি ফিরেছিল কেন ?
= সৌখীর কাজ দেখে লাটসাহেব খুশি হয়েছিলেন, তাছাড়া হেড জমাদার সাহেবকে সৌখী টাকা খাইয়েছিল।
২৪। সৌখী যখন ঘরে ফেরে তখন সৌখীর স্ত্রী-পুত্র কোথায় ছিল ?
= সৌখীর শ্বশুর বাড়ি।
২৫। গল্পে উল্লিখিত গন্ধগোকুল আসলে কী ?
= খট্টাশজাতীয় প্রাণী।
২৬। টকটক করে দু’টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে কী বুঝতে হবে ?
= সৌখীর দলের লোক টাকা দিতে এসেছে।
২৭। এর আগেরবার সৌখী জেল থেকে কী এনেছিল ?
= একখানা কম্বল।
২৮। জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি কোথায় ছিল ?
= জেলখানার গুদামে।
২৯। সৌখী এর আগে কতবার জেল খেটেছে ?
= দু-বার।
৩০। সৌখী বাটুয়াটা কোথায় রেখে গিয়েছিল ?
= খাটিয়ার উপর।
৩১। দিনকাল পড়েছে অন্যরকম’—একথা বলার কারণ কী ?
= সৌখীর মা এই উক্তিটি করেছে।পুলিশকে ঠেকানো যায় কিন্তু দলের লোকদের বিশ্বাস করা যায় না। ক্ষমতার লোভে তারা যেকোনো কাজ করতে পারে। দলের অনুচররা আজকাল তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
৩২। হায়-রে কপাল’—কার কপালের কথা বলা হয়েছে ?
= এখানে সৌখীর দ্বিতীয় পত্নীর কথা বলা হয়েছে। কেননা রোগা শরীর নিয়ে সে অন্যের বাড়িতে খাটতে পারে না।
৩৩। সৌখীর মা-বউকে কী কেউ বিশ্বাস পায়!’—কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করা হয়েছে ?
= সৌখীর মা এই উক্তি করেছে। যেহেতু সৌখী ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত সেজন্য কেউ সৌখীর মা-বউকে বিশ্বাস করে না। একারণে লোকের বাড়িতে তাদের কাজও জোটে না।
৩৪। ঘুম আর আসতে চায় না’—ঘুম না আসার কারণ কী ?
= সৌখী বহুরাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকে। তার ছেলে কড়া মেজাজের। সৌখীর মা ঘুমিয়ে পড়লে ছেলে অশান্তি করবে ভেবে সৌখীর মায়ের ঘুম আসতে চায় না।
৩৫। প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নেরই ভয় করছিল’—বুড়ি কে? সে কেন ভয় করছিল ?
= ডাকাতের মা’ গল্পের বুড়ি হলো সৌখীর মা। সৌখী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসে তার বউ-ছেলেকে না দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করবে যে তার বউ-ছেলে কোথায় গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নেরই ভয় করছিল।
৩৬। তার বাড়ি ফিরবার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে’—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? তার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল কেন ?
= এখানে সৌখীর কথা বলা হয়েছে। সৌখী বাড়ি ফিরে তার বউ-ছেলেকে না দেখতে পেয়ে তার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।
৩৭। সেই হয়েছে বুড়ির মস্ত ভাবনা’—ভাবনার কারণ কী ?
= ভাবনা সৌখীর মায়ের। সৌখী অনেকদিন পর জেল থেকে রাত্রিবেলায় বাড়ি এসেছে। পরদিন সকালে সৌখীকে কী খেতে দেবীই নিয়ে বুড়ির মস্ত ভাবনা।
৩৮। সৌখী তার মাকে বেদম মেরেছিল কেন ?
= একবার সৌখী রাত-দুপুরে বাড়ি এসে দরজায় টোকা মেরেছিল। কিন্তু কোনো শব্দ না পেয়ে সৌখী তার মাকে বেদম মেরেছিল।
৩৯। ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলেনা কেন ?
= কারণ রাত-বিরেতে সৌখী ও তার দলের লোক এসে দরজায় টোকা মারতে পারে।
৪০। বুড়ির বুক কেঁপে উঠল’—কেন?
= সৌখীর মা মাতাদিন পেশকারের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করে বাজারে চোদ্দ আনায় বিক্রি করেছিল।ফলে পরদিন সকালে বাড়িতে দারোগা-পুলিশ আসতে দেখে বুড়ির বুক কেঁপে উঠেছিল।
৪১। সৌখীর কত পয়সায় লোটা বিক্রি করেছিল ?
= চোদ্দো আনা পয়সায় লোটা বিক্রি করেছিল।
৪২। বুড়ির বিশেষ অসুবিধা হলো না’—অসুবিধা হলো না কেন ?
= মাতাদিন পেশকারের বাড়িতে যে পাঁচিল গাথা হচ্ছিল সেই পাঁচিলের নিচে মাটি ও ভাঙা ইট পড়েছিল তাই সেই পাঁচিল টপকাতে বুড়ির বিশেষ অসুবিধা হয়নি।
৪৩। সারা পাড়ায় কিসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল ?
= পোড়া আলু চচ্চড়ির গন্ধ।
৪৪। তখন ত মাথা হেঁট হয়নি তার’—কখন মাথা হেঁট হয়নি ?
= পাঁচ-সাত বছর আগে একবার পুলিশ ভোররাত্রে সৌখীর বাড়ি ঘেরাও করেছিল, বন্দুকের খোঁজে। সেই সময় সৌখীর মায়ের মাথা হেঁট হয়নি।