--------------------------------------------------
--------------------------------------------------


--------------------------------------------------
--------------------------------------------------

‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’-এর প্রথম তিনটি শ্লোকের ভাবার্থ নিজের ভাষায় লেখো। বা, কনকলেখার সঙ্গে বিবাহ প্রসঙ্গে রাজা ইন্দ্রবর্মার আবেগের বর্ণনা দাও। [২০১৫]

[] শ্রীকৃষ্ণমাচার্য বিরচিত ‘বাসস্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশের শুরুতে দেখা যায় অবস্তীরাজ ইন্দ্রবর্মা ও তার বাগদত্তা কনকলেখা মাত্র চারদিন পরে অমাবস্যায তিথিতে বিবাহ উপলক্ষ্যে কথোপকথনে ব্যস্ত।

প্রথম তিনটি শ্লোকে রাজা ইন্দ্রবর্মার মনোভাব

অবন্তীরাজ ইন্দ্রবর্মার সঙ্গে কনকলেখার আর চারদিন পরে বিবাহ সম্পন্ন হবে। কিন্তু এই চারদিনের অপেক্ষা রাজার পক্ষে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি মদন শরে আক্রান্ত হয়ে বড়োই দুঃখিত। তাঁর আর ধৈর্য ধরে না। এই চারটি দিন কীভাবে কাটাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তিনি অধৈর্য হয়ে চাঁদকে দোষারোপ করছেন যে চাঁদ অত্যন্ত নির্দয়–-“শশাঙ্কঃ তু অতিনিঘৃণঃ।” কারণ হিসাবে তিনি মনে করেন, চাঁদ ক্ষয় হচ্ছে বটে কিন্তু এত ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছে যে, সে যেন রাজাকে কষ্ট দিচ্ছে। প্রকৃতির নিয়মে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ ক্ষয়ে ক্ষয়ে অমাবস্যার দিকে এগোচ্ছে। চাঁদ যেন রাজার সুখের দিনটা তাড়াতাড়ি আসতে দিচ্ছে না। এটি প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে অত্যন্ত নিষ্ঠুর কাজ।

রাজার কাছে অপেক্ষার দিনগুলি স্বাভাবিকের থেকেও দীর্ঘতর মনে হচ্ছে। এক-এক নাড়িকা (ক্ষণ) সময় তাঁর কাছে এক-এক যুগ বলে মনে হচ্ছে-–“নাড়িকাঽপি যুগায়তে।” বিরহের যন্ত্রণা এতটাই কষ্টকর রাজার কাছে।

কনকলেখা তাঁকে আশ্বস্ত করলে রাজা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে অনুচর প্রমোদকে আদেশ দিলেন রাজ্যের যুবকরা যেন দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠে। আর রাজা অস্ত্রের ব্যবহার দ্বারা কনকলেখার মন জয় না করে উৎসবের মাধ্যমে তাঁকে জীবনসঙ্গিনী করবেন।

মূল্যায়ন আলোচ্য শ্লোকে অবস্তীরাজ ইন্দ্রবর্মার ধৈর্যচ্যুতি এবং

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত