‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশ অবলম্বনে কৌমুদীর চরিত্রের পরিচয় দাও। [২০১৬]

[] শ্রীকৃষ্ণমাচার্য বিরচিত ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশের সীমিত পরিসরে কৌমুদীর চরিত্রের কিছু পরিচয় পাই। রাজা ইন্দ্রবর্মার সঙ্গে কথোপকথনের সময়ই কৌমুদী চরিত্রের বিভিন্ন দিক প্রকাশ পেয়েছে।

অকুতোভয় : কৌমুদী নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। সাধারণত রাজার আদেশই হলো শেষ কথা। রাজার বিরুদ্ধাচরণ মানেই মৃত্যু। তবুও কৌমুদী নিজের ভালোবাসার পাত্রকে বিয়ে করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সুশীলা নারী : রাজা ইন্দ্রবর্মার সঙ্গে কথা বলার সময় পূজনীয় ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহিপতি, করুণানিধি, মহারাজ বলে সম্বোধন করে কথা বলা শুরু করেছে কৌমুদী।

বুদ্ধিমতী : রাজার প্রতিটি কথাকে কৌমুদী অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বুদ্ধির দ্বারা পরাস্ত করেছে। সে রাজাকে বলেছে, যদি তার বাবা ইন্দুশর্মা মেয়ের চোখ দিয়ে দেখেন তবে তিনি কন্যার প্রেমিককে ভালোবাসতে বাধ্য। কৌমুদীর কথার দ্বারা নাট্যকার সময়োপযোগী ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

সার্থক প্রেমিকা : কৌমুদীর চরিত্রের সবচেয়ে বড়ো গুণ সে আদর্শ প্রেমিকা। মৃত্যুর ভয়ে বা চিরকুমারী ব্রত সারাজীবন পালন করেও তার প্রেমিক বসন্তকে ছাড়তে রাজি নয়। কৌমুদীর ভাষায়, “বসন্তের জন্য আজীবন অবিবাহিত থাকতেও রাজি। তার জন্যে মরতেও পারি।”

[] নাট্যকার কৌমুদী চরিত্রের মাধ্যমে সময়োপযোগী এক প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং আদর্শ প্রেমিকার স্বরূপ তুলে ধরেছেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত