বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ০১ দশম শ্রেণি | Bengali Model Activity Task 01 Class 10 | PDF Download

বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি | Bengali Model Activity Task Class 10 | PDF Download

করোনা মহামারিতে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে করণীয় প্রজেক্ট।
পয়েন্ট(toc)

[১] “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন” – তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

[] তপনের মেসো যেদিন ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনের বাড়িতে যায় সেদিনের কথা এখানে বলা হয়েছে।

[] ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপন নিজের নাম দেখে খুব আনন্দিত হয়। কিচতু তার সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ছাপানো গল্পটি পড়ে তপন বুঝতে পারে তার মেসোমশাই আগাগোড়া সবটাই সংশোধন করে ছাপিয়েছেন। বালক তপনের লেখক সত্তা তখনই অপমানিত হয়। এক বালক লেখকের লেখার মূল্য তপনের মেসোমশাই বুঝতে পারেনি। এখানেই তপনের অভিমানী স্বর ধরা পড়ে।



[২] ‘আমাদের ইতিহাস নেই’—এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখ।

[] কবি শঙ্খ ঘোষের আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকিকবিতা থেকে প্রশ্নোধৃত অংশটি গৃহীত। এখানে কবি ইতিহাসবিস্মৃত হওয়া এক জাতির কথা বলেছেন। যারা নিজেদের অতীত ঐতিহ্য ও মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই কবি বলেছেন আমাদের ইতিহাস নেই

[] সনাতন ভারত শান্তির দেশ, মানবতার ধারক। ভারত তার শাস্তিমন্ত্রকে বারবার বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। এটাই ভারতের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ স্বরূপ। একে ভুলে যাওয়াই ইতিহাস বিস্মৃতি। এ ছাড়াও ইতিহাস বলতে বোঝানো হয়েছে, ইতিহাস বিকৃতি অর্থাৎ আত্মবৈশিষ্ট্য বিস্মৃত হয়ে পরের অনুকরণে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা। এখানে কবির এই ভাবনাই প্রকাশ পেয়েছে।

 

[৩] এল মানুষ ধরার দল’—তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?

[] উদ্ধৃত অংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ‘ওরা’ বলতে সাম্রাজ্যবাদী শাসক ইউরোপীয়দের কথা বলা হয়েছে।

[] ইউরোপীয় শক্তির আগমনের পূর্বে আফ্রিকা আপন ঐতিহ্যে, সংস্কৃতিতে এবং মানবিকতায় ছিল সুমহান। নিবিড় বনস্পতির পাহারায় ছিল বলে, রবীন্দ্রনাথ আফ্রিকাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলে সম্বোধন করেছেন। আফ্রিকার শিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, লোকসংস্কৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। অতীতের বিস্তীর্ণ আফ্রিকার সৌন্দর্য ও স্বকীয় ঐতিহ্যকে কবি ‘প্রকৃতির দৃষ্টি অতীত জাদু’ বলতে চেয়েছেন। আফ্রিকা তার নিজস্বতা দিয়েই অর্থাৎ বনস্পতির নিবিড় পাহারাতে নিজেকে সুরক্ষিত রেখেছিল। গভীর অরণ্যে পরিবৃত আফ্রিকার অধিবাসীরা ছিল কৃষ্ণাঙ্গ। বাইরের পৃথিবীর কাছে এরা ছিল উপেক্ষিত ও বঞ্চিত। তবে তাদের ছিল প্রকৃতির অফুরন্ত ঐশ্বর্য্য ও স্বকীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য। তারা রুদ্র প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপকে ক্রমে নিজেদের আয়ত্তে আনতে শেখে এবং সমস্ত শঙ্কাকেও হার মানাতে শেখে।



[৪] ‘সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটোখাটো একটা অনুস্থান’—প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

[] আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে । লেখক শ্রীপান্থ তাঁর কিশোর বয়সের লেখাপড়া বিষয়ে উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন ।

[]  লেখক গ্রামের ছেলে ছিলেন বলে লেখাপড়ার প্রথম জীবনে ফাউন্টেন পেন হাতে পাননি । বাঁশের কঞ্চির কলম ব্যবহার করতেন । যে কলম তিনি নিজের হাতে তৈরি করতেন । কলমের কালিও তাঁকে তৈরি করে নিতে হত । কলমের মুখটা সূঁচালো করে কেটে আবার মাঝখান দিয়ে চিরে দিতেন । দোয়াতের কালিতে কলম ডুবিয়ে ডুবিয়ে লিখতেন । কালি তৈরীর জন্য বাড়ির রান্নার কড়াই -এর তলার কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে পাথরের বাটিতে জলে গুলে নিতেন । কালি বেশি ভালো করার জন্য অর্থাৎ যাতে দীর্ঘক্ষণ লেখা স্থায়ী থাকে তার জন্য আতপ চাল ভেজে গুঁড়ো করে কালিতে মেশাতেন এবং হরিতকী ঘসে পোড়া খন্তির ছ্যাঁকা দিতেন। লেখক দোয়াতের কালি আর বাঁশের কঞ্চি অনেকদিন ব্যবহার করেছেন। কৈশোরে এইভাবে লেখাপড়া করার প্রসঙ্গে লেখক উপরিউক্ত মন্তব্য করেছেন।

লেখক শ্রীপান্থ কঞ্চির কলম ছেড়ে ছিলেন শহরে এসে হাইস্কুলে ভর্তি হবার পর । প্রথমে কালির বড়ি দিয়ে লিখতেন । পরে কাজল কালি, সুলেখা কালি বাজারে কিনতে পাওয়া গেলে সেই দিয়ে লেখাপড়ার কাজ করতেন । খাতার লেখা ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়ার জন্য ব্লটিং পেপার বা বালি ব্যবহার করতেন । লেখাপড়ার জন্য বিশেষ করে লেখালেখির জন্য, সঠিক জায়গায় লেখা উপস্থাপিত করার জন্য বিশাল আয়োজন করতে হত । এই সব কারণে লেখক উক্ত মন্তব্য করেছেন ।



[৫] ‘সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে’—কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও।

[] অংশটি পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে গৃহীত।

[] আগ্নেয় পাহাড়ের মতো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের লেলিহান আগুন সমতলকেও গ্রাস করেছিল। যুদ্ধের নির্মম আঘাতে কবির মিস্টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তার বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গোলাপি গাছ, ছড়ানো করতলের মতো পাতা, চিমনি এবং প্রিয় প্রাচীন জলতরঙ্গ—সব চুর্ন হয়ে গেল, ভস্ম হয়ে গেল আগুনে। অর্থাৎ কবির আশ্রয় ও অস্তিত্বের একমাত্র চিহ্ন যুদ্ধের নিষ্ঠুরতায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।



[৬] অনুক্ত কর্তা’—বলতে কী বোঝ?

[] ভাববাচ্য এবং কর্মবাচ্যের বিভক্তিযুক্ত কিংবা অনুসর্গ যুক্ত কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে।

[] যেমন—মহাশয়ের আসা হচ্ছে কোথা থেকে? (ভাববাচ্য) । পুলিশ কর্তৃক চোরটি ধৃত হয়েছে। (কর্মবাচ্য)



[৭] অকারক পদ কয় প্রকার ও কী কী?

[] অকারক পদ দুই প্রকার, যথা—সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।



[৮] তির্যক বিভক্তি কাকে বলা হয়?

[] যেসব বিভক্তি একের বেশি কারকে ব্যবহৃত হয় তাদের তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন—‘এ’, ‘তে’, ‘য়’ বিভক্তি শুধুমাত্র বিভিন্ন কারকে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 




Download PDF

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত