বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ একাদশ শ্রেণি | Bengali Model Activity Task 2021 Class 11 | PDF Download

বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ একাদশ শ্রেণি | Bengali Model Activity Task 2021 Class 11 | PDF Download

Complete PDF for Model Activity task for class XI , Subject Bengali. Part 1

[কর্তার ভূত এবং নীলধ্বজের প্রতি জনা থেকে প্রশ্নগুলি দেওয়া হয়েছে]


প্রশ্নসমূহ(toc)


১। দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল’—কখন এবং কেন ‘দেশের লোক’ নিশ্চিন্ত হয়েছিল?

[উত্তর] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ গল্পে দেশের মানুষ নিশ্চিন্ত হয়েছিল। কারণ, বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পর ভূতের অভিভাবকত্বে তাদের সুখে-দুখে দিন কেটে যাবে। এই ভাবনা থেকেই দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হয়েছিল।


২। ‘কেবল অতি সামান্য একটা কারণে একটু মুশকিল বাঁধল’—কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই মুশকিল বেঁধেছিল এবং তার কারণ কী ছিল?

[উত্তর] প্রেক্ষিত—ভূতগ্রস্ত দেশে অন্ন-বস্ত্র-স্বাস্থ্য ন থাক—শান্তি থাকে। এই শান্তি-বিঘ্নের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে এই কথা বলা হয়েছে।

কারণ—বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যারা ভূতে বিশ্বাস করে না। সেখানকার মানুষ অত্যন্ত সজাগ। তাঁরা কর্মে-ঘর্মে একাকার। ওইসব দেশের রথচক্র বেশ সচল। তাদের দেখে ভূতগ্রস্ত মানুষদের মনে প্রশ্ন জাগায়


৩। ‘সেইখানেই তো ভূত’—বক্তা কে? কখন তিনি মন্তব্যটি করেছেন এবং এর তাৎপর্য কী?

[উত্তর] বক্তা—বক্তা হলেন ‘কর্তার ভূত’ গল্পের যিনি কর্তা, মরে গিয়ে যিনি ভূত হয়েছেন তিনি।

কখন—দেশের দু-একটা মানুষ যারা সাহস করে রাতে কর্তার কাছে তার স্থায়িত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন তখন কর্তা এরূপ বলেন।

তাৎপর্য—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ একটি রূপক গল্প। একটি দেশের মানূষ যদি প্রাচীনপন্থার সংস্কারে জর্জরিত হয়ে পড়ে তখন সেই সমাজ গতিহীন হয়ে যায়। মনের সংস্কার-দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে না পারলে তার থেকে নিস্তার নেই। যেখানেই সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদের অভাব সেখানেই ভূতের আবির্ভাব অর্থাৎ সংস্কারে আচ্ছন্ন হওয়া। 

 

৪। ‘কি লজ্জা ! দুঃখের কথা হায় কব / কারে?’—কে, কেন একথা বলেছেন? বক্তার মনোভাব আলোচনা করো।

[উত্তর] কে, কেন—মাহেশ্বরী পুরীর রাজমহিষী জনা এই উদ্ধৃতির বক্তা। পুত্রহন্তা পার্থকে রাজ-সিংহাসনে বসিয়েছেন স্বামী নীলধ্বজ। তাই ক্রোধে-অভিমানে জনা এরূপ কথা বলেছেন তাঁর পত্রে।

বক্তার মনোভাব—জনার পুত্র প্রবীরের হত্যাকারী হলেন পার্থ অর্জুন। কিন্তু রাজা নীলধ্বজ অর্জুনের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন অবনত মস্তকে। স্বামীর ভীতিবোধ দেখে জনা লজ্জিত। পুত্রের হত্যাকারীকে যেভাবে স্বামী পদলেহন করছেন, তাঁর সেই মূঢ়তাকে দেখে জনা বিস্মিত হয়েছেন। তাই জনা দুঃখে-অভিমানে স্বামীকে পত্র লিখতে বাধ্য হয়েছেন।


৫। ‘মিথা কথা, নাথ।‘—বক্তা কোন কথাকে ‘মিথ্যা’ বলেছেন? কীভাবে তিনি নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন?

[উত্তর] ১ম অংশ—‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্রকবিতায় বক্তা জনা তাঁর পত্রে অর্জুনকে ‘রথিকুল-পতি’ অর্থাৎ মহারথী বলার বিরোধিতা করে বলেছেন যে, তা মিথ্যা।

২য় অংশ—জনা তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বিভিন্ন যুক্তি উল্লেখ করেছেন। যথা—দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায় পার্থ ছদ্মবেশে ছলনা করেছিলেন। কৃষ্ণের সহায়তায় খান্ডব বন দহন করেন। শিখন্ডীর সাহায্যে হত্যা করেন পিতামহ ভীষ্মকে। গুরু দ্রোনাচার্যকে বধ করেন। সর্বোপরি কুরুক্ষত্রে কর্ণকে বিনা অস্ত্রের যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা হত্যা করা। এইভাবে জনা দেখিয়েছেন, অর্জুনের কাপুরুষতার বিভিন্ন চিত্র।    

 

 


———————

Download PDF

———————-                                                                          

Go Home (info)



আমাদের টেলিগ্রাম ও ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন

👇👇👇👇

Join Telegram (demo)

Join Facebook (open)

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত