“ভীষ্মজননি হে মুনিবরকন্যে।”

(উত্তর) গঙ্গা নদীমাতৃক ভারতবর্ষে প্রাণদায়িনী পবিত্র একটি নদী। গঙ্গাজল পবিত্র হওয়ায় তাকে পতিত নিবারিণী বলা হয়েছে। বেদপুরাণে রয়েছে গঙ্গার উৎপত্তি শ্রীহরির পাদপদ্মে। কপিলমুনির অভিশাপে ভস্মীভূত সগর রাজার ষাট হাজার সন্তান এই গঙ্গার জলে উদ্ধার পায়। গঙ্গাকে মুনিবর কন্যা বলার কারণ : স্বর্গ থেকে অবতরণকালে জহ্নু মুনির আশ্রম ও যজ্ঞস্থল প্লাবিত হয়। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে জহ্নুমনি গঙ্গাকে পান করেন। তারপর দেবতাদের অনুরোধে তিনি তাঁর কান (মতান্তরে জানু) থেকে গঙ্গাকে বহির্গমনের পথ করে দেন বলেই গঙ্গা জহ্নুকন্যা বা জাহ্নবী। 

আবার গঙ্গার অপর নাম ভীষ্মজননী। কুরু ও পাণ্ডবদের পিতামহ দেবব্রত হলেন শান্তনু ও গঙ্গার পুত্র। ইনি রাজপদ বর্জন করে চিরকুমার ব্রত পালনের ভীষণ প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বলেই ‘ভীষ্ম’ নামে খ্যাত হন। তাই গঙ্গাকে ‘ভীষ্মজননী” বলা হয়। সেই ভীষ্মজননী মুনিবর কন্যা গঙ্গাকে শতকোটি নমস্কার।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত