“তব তটনিকটে যস্য নিবাসঃ / খলু বৈকুণ্ঠে তস্য নিবাসঃ।”

(উত্তর) ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মনুষ্য জাতি। প্রাকৃতিক গুণে কিছু দোষ তার চরিত্রে দেখা দেয়। ক্রোধ, লোভ, মোহ, ঈর্ষা প্রভৃতি কারণে মানুষ নানা দুঃখ, কষ্ট, মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এই অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেউ জ্ঞানভক্তি বা কেউ নিষ্কাম কর্মযোগের আশ্রয় নেয়। কিন্তু ভক্তিযোগে কোনো জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। একনিষ্ঠভাবে গুরু পরিচালিত ভক্তিমার্গে অনেকেই সিদ্ধিলাভ করেছেন। যেমন – শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ প্রমুখ।

কথিত আছে – স্বর্গে সুখ, মর্ত্যে সুখ ও দুঃখ, নরকে শুধুই দুঃখ। বৈকুণ্ঠ হল এমনই এক শান্তির নীড় যেখানে শ্রীবিষ্ণু থাকেন। ভক্ত-কবির বিশ্বাস, যে ব্যক্তি গঙ্গাতীরে বাস করে সদা সৎপথে জীবন নির্বাহ করে, সেই ব্যক্তি বৈকুণ্ঠের মতো শান্তিলাভ করে। গঙ্গার তীর এমনই নির্জন, শান্ত ও শীতল স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ভক্তিযোগে যে গঙ্গাতীরে বাস করে সে বৈকুণ্ঠের মতো পরমানন্দ অনুভব করে।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত