“রোগং শোকং তাপং পাপং হর মে ভগবতি কুমতিকলাপম্।”

(উত্তর) মনুষ্য জীবন তিন ধরনের ব্যাধিতে জর্জরিত থাকে। এগুলি হল – (১) আধ্যাত্মিক, (২) আধিভৌতিক এবং (৩) আধিদৈবিক। বিভিন্ন শারীরিক রোগ, কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, ভয়, ঈর্ষা প্রভৃতি থেকে আগত দুঃখ হল আধ্যাত্মিক। মনুষ্য, হিংস্র পশু, দস্যু, তস্করাদি থেকে আগত বিপদ বা দুঃখ হল আধিভৌতিক। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আগত দুঃখ হল আধিদৈবিক।

মানুষ চায় এই দুঃখত্রয় থেকে মুক্তি পেতে। ভক্ত-কবির দৃঢ়বিশ্বাস যদি ভগবতী গঙ্গার শরণ নেওয়া যায় তাহলে ভবসংসারের সমস্ত দুঃখ তিনি ত্রাণ করতে পারেন। তিনিই এই সংসারের একনিষ্ঠ ভক্তের সমস্ত কলুষ নাশ করে সঠিক পথ দেখাতে পারেন। দেবী গঙ্গার জল অত্যন্ত পবিত্র। গঙ্গা পতিত মানুষের ত্রাণকর্ত্রী – “পতিতোদ্ধারিণি জাহ্নবিগঙ্গে।” পাপনাশিনী গঙ্গা যেন জগতের সকল প্রাণীর রোগ, শোক, পাপ, তাপ ও কুচিন্তা থেকে মুক্ত করে আনন্দময় জীবন দান করেন। এটাই ভগবতী গঙ্গার কাছে ভক্ত-কবির একান্ত প্রার্থনা।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত