--------------------------------------------------
--------------------------------------------------


--------------------------------------------------
--------------------------------------------------

“অসক্ত হ্যাচরন কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।”

(উত্তর) এই জগতে সকল প্রাণীকেই প্রকৃতির নিয়মে কর্ম করতেই হবে। তবে সাধারণ প্রাণীর কর্ম আর কর্মযোগীর কর্ম এক নয়। সাধারণ মানুষ কামনা, বাসনা, মমতা ইত্যাদি নিয়ে কর্ম করে আর কর্মযোগী এই সমস্ত পরিত্যাগ করে কর্ম করেন। সাধারণ মানুষের কর্ম স্বার্থকেন্দ্রিক আর কর্মযোগীর কর্ম জগৎমুখী। তিনি মনে করেন শরীর, মন, বুদ্ধি, অর্থ সবই বস্তুজগৎ থেকে পাওয়া। সবই জগৎসংসারের জন্য, নিজের জন্য নয়। সুতরাং, মানুষের কর্তব্য হল জগতের হিত।

“পরমাপ্নোতি পুরুষঃ” – এখানে কর্মযোগীর ‘পরমাত্মা’ প্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে। রুচি, বিশ্বাস, যোগ্যতা অনুযায়ী যে-কোনো পথের পথিক অর্থাৎ কর্মযোগী, জ্ঞানযোগী বা ভক্তিবাদীর প্রাপ্তিযোগ্য বস্তু হল পরমাত্মা। তাই বলা হয়েছে অনাসক্ত হয়ে কর্ম করলে মানুষ পরমাত্মাকে অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করে।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত