“তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচর।”

(উত্তর) পৃথিবীতে কর্ম তিন প্রকারের হয়, যথা – (১) বৃথা কর্ম, (২) উৎসর্গীকৃত কর্ম এবং (৩) নিষ্কাম কর্ম। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ভোগসুখের জন্য যে কর্ম করা হয়, এরূপ কর্ম বৃথা। ফলের কামনা নিয়ে যে কর্ম করা হয়, যজ্ঞের অবশেষ রূপে ভোগ্য বস্তু গ্রহণ করা হয় – এইরূপ কর্ম উৎসর্গীকৃত এবং আগের কর্মের থেকে কল্যাণময়। আর নিষ্কাম কর্ম সবরকম কামনা-বাসনা ও আসক্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে করা হয়। 

এই নিরাসক্ত কর্ম শ্রেষ্ঠ। আবার স্বার্থবুদ্ধি দ্বারা চালিত কর্ম অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। অনাসক্ত কর্ম করে পরমকে অর্থাৎ মোক্ষকে লাভ করা যায়। শংকরাচার্য বলেছেন, কর্ম দ্বারা মানুষের মন পবিত্র হয় এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অর্থাৎ, কর্মের দ্বারা মনের পবিত্রতার মাধ্যমে পরোক্ষভাবেও সিদ্ধিলাভ হতে পারে। জনক প্রমুখ মহর্ষিগণ এইরূপ নিষ্কাম কর্মের দ্বারা সিদ্ধিলাভ করেছেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত