“কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌। / ইন্দ্রিয়ার্থান্ বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে।।”

(উত্তর) এই জগতে যে ব্যক্তি কর্মেন্দ্রিয়গুলিকে অর্থাৎ বাক্‌, পাণি (হাত), পাদ (পা), পায়ু (মলদ্বার), উপস্থ (জননেন্দ্ৰিয়) সংযত করে ইন্দ্রিয়-ভোগ্য বিষয়গুলিকে মনে মনে চিন্তা করে বাইরে কর্মশূন্য হয় অর্থাৎ বিষয়ের প্রতি কামনা মনে মনে পোষণ করে, অথচ কোনো কর্ম করে না ; সেই মূর্খ ব্যক্তি মিথ্যাচারী, প্রতারক বলে সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়।

বাহ্যিক ভোগের থেকে মানসিক সুখভোগে বিশেষ ক্ষতি হয়। কারণ লোকলজ্জায়, ব্যবহারের ভুলত্রুটির জন্য অনেক ভোগ বাইরে থেকে করা যায় না, কিন্তু মনে মনে ভোগ করার ক্ষেত্রে সেই বাধা থাকে না। মনে মনে উপভোগের জন্য বিশেষ অবসর বা যথেষ্ট সুযোগ থাকে। আসলে মন থেকে বিষয়চিন্তা ত্যাগই প্রকৃত ত্যাগ ৷ অতএব নিঃস্বার্থভাবে কর্ম করতে হবে।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত