কিউনিফর্ম লিপির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

(উত্তর)

ভূমিকা : এখনকার ইরাকের নামই আগে ছিল মেসোপটেমিয়া। টাইগ্রিস আর ইউফ্রেটিস নদীর তীরে মেসোপটেমিয়া, সুমের, অক্কাদ প্রভৃতি প্রাচীন সভ্যতাগুলি গড়ে উঠেছিল। পৃথিবীর প্রাচীনতম লিপির অন্যতম দাবিদার এখানকার মানুষরা। এখানকার লিপির নাম কিউনিফর্ম বা কীলকলিপি। 

কিউনিফর্ম বা কীলকলিপির নামকরণ : এই লিপি পেরেকের মতো খোঁচা খোঁচা চেহারার জন্যই এমন নামে পরিচিত। ল্যাটিন শব্দ ‘কিউনিয়াস’ মানে পেরেক বা কীলক আর ‘ফরমা’ হল আকৃতি। বিখ্যাত লিপি বিশারদ টমাস হাইড এই লিপির নামকরণ করেন

লিপি পরিচয় : প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানুষ মনে করতেন ‘নেবো’’ নামের দেবতাই এই লিখন পদ্ধতির আবিষ্কর্তা। নরম মাটির চাকতিতে লিখে তা শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করে নেওয়া হতো। এই খোদিত লিপি থেকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার সমাজজীবন সম্বন্ধে অনেক কথা জানা যায়। কীলক লিপির সবচেয়ে প্রাচীন নমুনাটি পাওয়া গেছে উরুক শহরে।

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই লিপি ক্রমশ অপ্রচলিত হয়ে পড়েছিল। তাছাড়া  এই লিপির পাঠোদ্ধারের মধ্য দিয়ে অতীতের অনেকখানি না-জানা অধ্যায়ও উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত