(উত্তর) যারা এ কথা মনে করেন : ‘লিপিকা’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘কর্তার ভূত’ নামাঙ্কিত গল্প থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে। তত্ত্বজ্ঞানীরা একথা মনে করেন।
‘জগতের সবচেয়ে আদিম চলা’ : ভূত-শাসনতন্ত্রের অধীনস্ত মানুষ সবকিছু মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-”স্বভাবদোষে যারা নিজের ভাবনা নিজে ভাবতে যায়, তারা খায় ভূতের কানমলা।” মানুষ যখন সনাতন প্রথাকে মেনে নিয়ে সংস্কার বদ্ধ জীবন-যাপন করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তখন অর্বাচীনেরা নানারকম প্রশ্ন করে।
দেশশুদ্ধ লোক ভূতগ্রস্ত হয়ে দিব্যি আরামে চোখ বুজেছিলেন। আর দেশের তত্ত্বজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন এই চোখ বুজে চলাই হচ্ছে জগতের আদিম চলা। বলাবাহুল্য এই অচলায়তন মানুষের জীবনে কোনো আলো এনে দিতে পারেনি।
কর্তার ভূতকে যাঁরা টিকিয়ে রাখতে চান সেইসব তত্ত্বজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন মানুষ যেন অদৃষ্টের চালে চলতে থাকে কিংবা কীট পতঙ্গের মতো অনুচ্চারিত প্রতিবাদে বেঁচে থাকে। এদিক থেকে সমগ্র গল্পের প্রেক্ষিতে আলোচ্য উক্তিটি সবিশেষ তাৎপর্যে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।