‘ভারতের আর তত কদর নাই।’—কদর না থাকার কারণ কী তা ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’ রচনা অবলম্বনে লেখো।

কদর না থাকার কারণ : ভারতবর্ষ সম্পর্কে স্বামীজীর গর্বের সীমা ছিল না। ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’ নামাঙ্কিত প্রবন্ধেও সেই গর্বের কথা রয়েছে। স্বামীজী লিখেছেন—

“অনাদি কাল হ’তে, উর্বরতায় আর বাণিজ্য-শিল্পে ভারতের মতো দেশ কি আর আছে?”

ইউরোপীয়রা স্বীকার করুক বা না করুক এ বিষয়ে কোনো দ্বিধা নেই যে, ভারতবর্ষ ইউরোপকে অনেক কিছু দিয়েছে। প্রাচীন দেশের যাবতীয় ঐশ্বর্য ভাণ্ডার ভারতের বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করত।

          সুতি কাপড়, তুলা, পাট, নীল, লাক্ষা, চাল, হীরে, মতি ইত্যাদি ভারতবর্ষ থেকে রপ্তানি হতো। এছাড়া উৎকৃষ্ট রেশমি, পশমিনা, কিংখাব ইত্যাদি এদেশের মতো কোথাও উৎপন্ন হতো না। আবার লবঙ্গ, এলাচ, মরিচ, জায়ফল, জয়িত্রি ইত্যাদি মশলা ভারতবর্ষ থেকে যেত। স্বামীজী এজন্যে লিখেছেন—

“অতি প্রাচীনকাল হতেই যে দেশ যখন সভ্য হ’ত, তখন ঐ সকল জিনিসের জন্য ভারতের উপর নির্ভর।”

অবশ্য এখন আমেরিকা প্রভৃতি দেশে ভারতের জিনিসপত্র অনেক স্থানে ভারত অপেক্ষাও উত্তম উৎপন্ন হচ্ছে। তাই পূর্বের মতো ভারতের আর কদর নেই।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত