ভূমিকা—স্বামী বিবেকানন্দের ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’ (‘পরিব্রাজক’ গ্রন্থ) নামক গদ্য থেকে আলোচ্য অংশ নেওয়া হয়েছে। লেখক সুয়েজ খাল সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়েছেন।
মন্তব্যটির তাৎপর্য : প্রতিটি সভ্যতার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। প্রাচীন মিশরে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়েছিল সুয়েজখাল। ফরাসি স্থপতি ফর্ডিনেন্ড লেসেপ্স এই খালটি খনন করেন।
এর ফলে ভূমধ্যসাগর আর লোহিত সাগরের সংযোগ হয়ে ইউরোপ আর ভারতবর্ষের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুবিধা হয়েছিল। স্বামীজী লিখেছেন—
“মানব-জাতির উন্নতির বর্তমান অবস্থার জন্য যতগুলি কারণ প্রাচীনকাল থেকে কাজ করছে, তার মধ্যে বোধ হয় ভারতের বাণিজ্য সর্বপ্রধান”।
এই খালের মাধ্যমে বাণিজ্য জাহাজ যাতায়াত করতে পারত সহজেই। সুয়েজ খাল সংস্করণের ফলে কোন জাহাজ কোথায় আছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এর ফলে এক স্টেশনের হুকুম না পেলে অন্য স্টেশন থেকে জাহাজ আসার অনুমোদন পায় না। এককথায় এই খাতস্থাপত্যের ফলে বাণিজ্যের নতুন পথ আবিষ্কৃত হয়েছে।