সূচনা : স্বামী বিবেকানন্দের লেখা ‘পরিব্রাজক’ গ্রন্থের অন্তর্গত একটি অসাধারণ গদ্য হলো ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’। আলোচ্য নিবন্ধে লেখক ভারতের প্রাচীন বাণিজ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা জানিয়েছেন।
কারণ ব্যাখ্যা : আমাদের দেশ ভারতবর্ষ প্রাচীনকালে সারা পৃথিবীর বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণিত হয়েছিল। স্বামীজী লিখেছেন—
“মানব-জাতির উন্নতির বর্তমান অবস্থার জন্য যতগুলি কারণ প্রাচীনকাল থেকে কাজ করছে, তার মধ্যে বোধহয় ভারতের বাণিজ্য সর্বপ্রধান”।
বহু প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষ বাণিজ্যের কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠেছিল। কৃষিতে উন্নত ও বাণিজ্যে সফল এই দেশ আমদানি ও রপ্তানি করত।
অতীতে বিশ্বের সূতি-কাপড়, তুলা, নীল, লাক্ষা, চাল, হীরে, মতি ইত্যাদি মূল্যবান বস্তু ভারত থেকে বাইরে পাঠানো হতো। এছাড়া উন্নতমানের রেশম, পশমিনা, কিংখাব ইত্যাদি এই দেশেই বহুল পরিমাণে উৎপন্ন হতো। প্রাচীনকাল থেকে উৎকৃষ্ট মশলা এখানেই উৎপন্ন হতো। লবঙ্গ, এলাচ, মরিচ, জায়ফল, জয়িত্রী প্রভৃতি নানাবিধ মশলার স্থান হয়ে উঠেছিল আমাদের ভারতবর্ষ।
স্বামীজী জানিয়েছেন তখন দুটি প্রধান ধারায় বাণিজ্য চলত। যথা—
এক. একটি ডাঙা পথে আফগানি ইরানি দেশ হয়ে।
দুই. অন্যটি জলপথে রেড-সি হয়ে।
এভাবে আমাদের এই ভারতবর্ষ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল।