(উত্তর) দ্রাবিড় ভাষাবংশ—ভাষাভাষি সংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষাবংশ হলো দ্রাবিড়। প্রত্ন-অস্ত্রালদের পর ভূমধ্য জনগোষ্ঠী ভারতে প্রবেশ করে। এদের ভাষার নাম দ্রাবিড়। ভারতের দক্ষিণ দিকেই এদের একছত্র বিস্তার। আর্যদের আগমনের ফলে উত্তর ভারত থেকে বিতাড়িত হয়ে এই জনগোষ্ঠী ভারতের দক্ষিণ দিকে হাজির হয়েছিল।
ভাষাবংশের শাখা ও উপশাখা—দ্রাবিড় ভাষাবংশের অন্তর্গত ভাষাগুলি যে বিভিন্ন শাখা-উপশাখায় বিভক্ত তা ছকে দেখানো হলো—
দ্রাবিড়
দক্ষিণী উত্তরদেশীয় মধ্যদেশীয় বিচ্ছিন্ন
দক্ষিণী শাখা—দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর যে শাখাটি একেবারে দক্ষিণে চলে এসেছিল সেটি এই ভাষাবংশের প্রধানতম শাখা। তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় এই শাখার উল্লেখযোগ্য ভাষার নিদর্শন।
উত্তরদেশীয় শাখা—এই শাখায় প্রধান দুটি ভাষা হলো ওরাওঁ বা কুরক এবং মালতো বা মালপাহাড়ি। বিহার, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশের সীমান্তে ওরাওঁ ভাষা প্রচলিত রয়েছে। রাজমহল পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত মালপাহাড়ি।
মধ্যদেশীয় শাখা—মধ্যদেশীয় শাখার অন্তর্ভুক্ত ভাষার সংখ্যা প্রায় ৭টি- গোন্ডী, কোন্দ, খোন্দ, কুই ইত্যাদি।অন্যান্য ভাষার সঙ্গে সম্পর্ক—বৈদিক যুগ থেকেই দ্রাবিড়দের সঙ্গে আর্যদের মিশ্রণ শুরু হয়েছিল। ফলত ভাষার দিক দিয়ে পারস্পরিক প্রভাব লক্ষ করা যায়। সংস্কৃত ভাষায় বেশ কিছু শব্দ এই অস্ট্রিক থেকে গৃহীত হয়েছে। যেমন- পুস্প, পূজা, তণ্ডুল প্রভৃতি। বাংলায় পিলে, উলু, খাল দ্রাবিড়জাত শব্দ।