প্রথম অংশ : ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় কবি জয় গোস্বামীর ‘ভুতুমভগবান’ কাব্যগ্রন্থটি। এই কাব্যের ‘নুন’ কবিতায় উল্লিখিত অংশে কথক যে নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি তাদের দিনযাপন হয় খুব কষ্টে।
দ্বিতীয় অংশ : মাঝে-মধ্যে কাজের অভাবে এমন অর্থাভাব ও অন্নাভাব দেখা যায় যে, দিন আর চলতে চায় না।
তৃতীয় অংশ : ‘অল্পে খুশি’ সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের ঘরে যখন খেতে না পাওয়াটাই রুটিন হয়ে দাঁড়ায়, তখন কবি উচ্চারণ করেন— ‘মাঝে মাঝে চলেও না দিন’।
সারাদিনের পর ক্লান্ত, শ্রান্ত দেহে বাপ-ব্যাটা বাড়ি ফেরে। কিন্তু তাদের খাবারের আয়োজন থাকে না। পড়শিদের বিলাসবহুল জীবনের পাশে তারা যেন অসহায়, অনাহারী জীবের মতো।
রাত দুপুরে যখন তারা খাওয়ার সুযোগ পায়; তখন তাদের ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও জোটে না। তারা সামান্য নুনটুকু পাবে না কেন? এই আত্মক্ষয়ী জীবন জিজ্ঞাসা থেকে সারা পাড়া চীৎকার করে মাথায় তোলে।
যদিও তাদের সেই চিৎকারে কারও কিছু যায় আসে না। কেননা, আর্থিকভাবে যারা স্বচ্ছল, তারা কখনই দরিদ্রের দুঃখ বোঝে না। কবি জয় গোস্বামী ‘নুন’ কবিতার শেষাংশে লিখেছেন—
‘আমরা তো সামান্য লোক
আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক।’
এভাবে ‘নুন’ কবিতা হয়ে ওঠে হা-অন্ন মানুষের জীবন-যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি।