বক্তা : সত্তর দশকের জনপ্রিয় কবি জয় গোস্বামীর ‘ভুতুমভগবান’ কাব্যের ‘নুন’ কবিতা থেকে গৃহীত এই অংশে কথক এই কথাটি বলেছেন কবিতার শেষাংশে এসে।
প্রসঙ্গ : ঔপনিবেশিকতার শিকল ছিন্ন করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অসহায়। তাদের খাওয়ার পাতে সামান্য নুনটুকুও জোটে না। সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।
সামান্য লোক শব্দের তাৎপর্য : খাদ্যাভাব, অর্থাভাব, ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায়তায় কীভাবে সামাজিক বৈষম্য ও বিপন্নতা চরমে উঠেছিল তারই সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হলো ‘নুন’ কবিতাটি। একদিকে ভোগ-বিলাস-জৌলুষ ঠিক তার বিপরীত দিকে ক্ষুধিত মানুষের খাদ্যের প্রতীক্ষা। এমন এক অস্থির সময়পর্বে দাঁড়িয়ে কবি দেখেছেন সমাজের অধিকাংশ মানুষের অসহায় অবস্থা।
বেকারত্ব বৃদ্ধি, প্রয়োজনের কর্মসংস্থান না হওয়া, মাত্রা ছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফল হলো ‘সামান্য লোক’দের বেশির ভাগে উপবাসী থাকা।
এদিক থেকে ‘সামান্য লোক’ শব্দের অর্থ আর সীমায়িত থাকে না। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের মূল শক্তি, যারা সভ্যতার প্রকৃত ধারক ও বাহক, যাদের তিল তিল শক্তিতে সভ্যতার রথচক্র সচল; তারাই চিহ্নিত হয়েছেন ‘সামান্য লোক’ নামে।