‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা বেশ সাহসী ছিল। তার স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে তার বেশ গর্ব ছিল। তার দুটি পরিচয়—
এক) সে ডাকাতের বউ
দুই) সে ডাকাতের মা
সুতরাং, তার ভয় ছিল না। জীবনে বহু ঘটনার সাক্ষী সে। পুলিশ-দারোগা নিয়ে তার কোনো ভীতিবোধ নেই। তার স্বামীকে সবাই মান্য করত। কিন্তু মাতাদীন পেশকারের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করাটা গর্বের বিষয় ছিল না।
তাই বাসনওয়ালা, পেশকার সাহেব ও দারোগাকে দেখে সৌখীর মায়ের বুক কেঁপে উঠেছিল। সতীনাথ লিখেছেন—
“পুলিশ দেখে ভয় পাবার লোক সে নয়। এর আগে কতবার সময়ে অসময়ে পুলিশকে তাদের বাড়ি হানা দিতে দেখেছে”।
কিন্তু এবার তার ভয়ের কারণ অন্য। ডাকাতি করা তার স্বামী-পুত্রের জীবিকা। এই জীবিকা নিয়ে তার কোনো আফশোস নেই। কেননা—
প্ৰথমত। স্বামী-পুত্রের কাজ ‘মরদের কাজ’।
দ্বিতীয়ত। সে কাজ নিঃসন্দেহে গর্বের কাজ।
কিন্তু সৌখীর মা ‘ছিঁচকে চোরের কাজ করেছে। সৌখী কি ভাববে— সেই চিন্তায় তার মা ভয় পেয়েছিল।