কথাকার সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে।
প্রথম অংশ: সৌখীর মা পেশকার সাহেবের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করার ফলে তার বাড়িতে দারোগা সাহেব এসেছিল সৌখীকে ধরতে। এর ফলে সৌখীর নামে কলঙ্ক হওয়ায় সৌখীর মা ভেঙে পড়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ: বহুদিন পর সৌখী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়িতে আসে, এইজন্য তার মা আনন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে। সৌখীর মায়ের অভাব সত্ত্বেও পরদিন ছেলেকে কী খেতে দেবে –এই চিন্তায় তার মায়ের সারা ঘুম আসে না।
এই অভাব-অনটনের মধ্যে তার মা সেই রাত্রে পেশকার সাহেবের বাড়ী থেকে লোটা চুরি করে। সেই লোটাটিকে চোদ্দ আনায় বিক্রি করে। এরফলে পরদিন সকালে সৌখীর বাড়িতে পুলিশ আসে সৌখীকে ধরতে। ছেলের নামে কলঙ্ক আনাটা তার মায়ের কাছে শোক বার্তা বয়ে এনেছিল। সৌখীর মা ভাবছিল যে, শেষকালে ছিঁচকে চুরির অপরাধে কিনা জেলে যাবে। এই সবের ফলে সৌখীর মা ভেঙে পড়েছিল।