‘ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে’ – কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? কলঙ্ক শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?

কথামুখ: ঔপন্যাসিক সতিনাথ ভাদুড়ীর অন্যতম একটি গল্প হলো ‘ডাকাতের মা’। এই গল্পে সৌখীর মায়ের সামান্য ভুল সিদ্ধান্তে আনন্দ কিভাবে দুঃখে পরিণত হয় তার পরিচয় রয়েছে।

প্রথম অংশ: আলোচ্য গল্পের প্রধান চরিত্র ‘ডাক্কাতের মা’ অর্থাৎ সৌখীর মা তার ছেলে সৌখীর নামে কলঙ্ক এনেছে।

দ্বিতীয় অংশ: বহুদিন পর পুত্র সৌখী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মায়ের সামনে উপস্থিত হয়। সেই সময় সৌখীর মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। কিন্তু পুত্রকে কখনোই নিজের দারিদ্র্যের কথা জানতে দেয়নি। আবার জেল-ফেরত ছেলেকে ‘আলু চচ্চড়ি’ ভাত খাওয়াতে তাকে ছিঁচকে চোরের মতো মর্যাদা হানিকর কাজেও হাত দিতে হয়েছিল।

          চরম এক অসহায় মুহূর্তে সৌখীর মা বাধ্য হয়ে পেশকারের গৃহ থেকে পুরোনো একটি লোটা চুরি করেছিল। সেটি চোদ্দ আনায় বিক্রিও করেছিল। এই কলঙ্ক পরে ছেলের নামের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।

          ডাকাতের বউ, ডাকাতের মা বলে যার গর্ব ছিল, সে কিনা ছিঁচকে চোরের মতো হীন কাজ করে বসলো। তার ফলে লজ্জায়, দুঃখে তার মাথা হেঁট হয়ে যায়। এর আগে কখনোই দারোগা পুলিশের কাছে মাথা হেঁট করেনি। তার চেয়েও বড়ো কষ্ট তার ছেলের উপর কলঙ্ক লেপন করা। আর সেই বেদনায় সৌখীর মা বুক ভরা কান্নায় ভেঙে পড়েছিল।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত