[মান – ৫] গঠনগত দিক থেকে বাক্য শ্রেণিবিভাগ করে প্রতিটি ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।

[উ] গঠনগত দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার— ক. সরল বাক্য, যৌগিক বাক্য ও জটিল বাক্য।

ক. সরল বাক্য : যে বাক্যে একটিমাত্র উদ্দেশ্য এবং একটি মাত্র বিধেয় অংশ থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।

সরল বাক্যের বৈশিষ্ট্য : অ এই বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে। আ. কর্তা উহ্য থাকতে পারে। 

উদাহরণ : মা শিশুকে ভালোবাসে।

বিশ্লেষণ : এই বাক্যটিতে একটিমাত্র উদ্দেশ্য [মা], একটি মাত্র বিধেয় [শিশুকে ভালোবাসে] এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া [ভালোবাসে] আছে। অর্থাৎ এটি একটি সরল বাক্য।

খ. যৌগিক বাক্য : একাধিক সরল বাক্য যখন সংযোজক অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে বা জুড়ে থাকে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। 

উদাহরণ : রতন এখন বাজারে যাবে এবং অতনু পড়তে বসবে।

বিশ্লেষণ : উদাহরণটিতে ‘রতন এখন বাজারে যাবে’ আর ‘অতনু পড়তে বসবে’–এই দুটি সরল বাক্য সংযোজক অব্যয় ‘এবং’ দ্বারা যুক্ত হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ, এটি একটি যৌগিক বাক্য। 

গ. জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে। 

যেমন : যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ।

বিশ্লেষণ : এখানে ‘সেই হয় রাবণ’ প্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘যে যায় লঙ্কায়’ অপ্রধান খণ্ড বাক্য। অর্থাৎ, এখানে একটি প্রধান বাক্যের সঙ্গে একটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য জুড়ে রয়েছে। অর্থাৎ এটি জটিল বাক্য।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত