পরিচয় : ধ্বনি হলো মৌখিক ভাষার ক্ষুদ্রতম একক। বাংলা ভাষায় কথা বলার সময় যেসব ধ্বনি উচ্চারিত হয়, সেগুলোর দুরকমের ভূমিকা থাকে—ধ্বনিমূলের এবং সহধ্বনির।
প্রতিবেশ বিশেষে একটি ধ্বনির উচ্চারণবৈচিত্র্য-সহ মূল ধ্বনিটিকে ধ্বনিমূল বলে। অর্থাৎ একই ধ্বনির উচ্চারণ এক-এক শব্দে এক-এক রমকের হতে পারে। আবার একটি ধ্বনিমূলের উচ্চারণ বিভিন্ন শব্দে যে আলাদা রকমের হয়, সেই আলাদা রকমের উচ্চারণকে বলে সহধ্বনি। যেমন—লম্বা, পল্টু, চালতা—এই তিনটি শব্দে ‘ল’ হল ধ্বনিমূল, কিন্তু তিনটি শব্দের ‘ল্’ উচ্চারণ একরকমের নয়। তিনটি শব্দের ‘ল্’ নিজের নির্দিষ্ট প্রতিবেশে উচ্চারিত হয়, একটির স্থানে অন্যটি উচ্চারিত হয় না।
ধ্বনিমূল ও সহধ্বনির সম্পর্ক
১) একটি ধ্বনিমূল যেন একটি ধ্বনিপরিবার এবং সহধ্বনিগুলি সেই পরিবারের সদস্য।
২) ধ্বনিমূল হল কল্পনা, আর সহধ্বনি তার বাস্তব রূপ বা শ্রাব্য অস্তিত্ব ৷
৩) ধ্বনিমূল ভাষায় অর্থের পার্থক্য আনে, কিন্তু সহধ্বনি অর্থের তফাত করতে পারে না। যেমন—‘দান’ ও ‘দাম’ শব্দে ‘ন্’ ও ‘ম্’ ধ্বনিমূল দুটি শব্দে অর্থ-পার্থক্য ঘটিয়েছে আর সহধ্বনি এদের অর্থ বদলায়নি।