--------------------------------------------------
--------------------------------------------------


--------------------------------------------------
--------------------------------------------------

[মান – ৫] ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের ভাগগুলো উল্লেখ করে যে-কোনো একটি ভাগ আলোচনা করো।

ফলিত ভাষাবিজ্ঞান কী : তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগের দিক হলো ফলিত ভাষাবিজ্ঞান। ভাষাবিজ্ঞানের শাখায় ভাষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক এবং অন্যান্য বিদ্যাচর্চার সম্পর্ক বিচার-বিশ্লেষণ করে, তাকে ফলিত ভাষাবিজ্ঞান বলে।

ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা : ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলি হল – (ক) সমাজভাষাবিজ্ঞান, (খ) মনোভাষাবিজ্ঞান, (গ) স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান, (ঘ) নৃ-ভাষাবিজ্ঞান (ঙ) শৈলীবিজ্ঞান (চ) অভিধান বিজ্ঞান।

অভিধান বিজ্ঞান

ভাষা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল অভিধান বিজ্ঞান। মূলত অভিধান রচনা ও ব্যবহারের বিষয়টি এই বিজ্ঞানে আলচিত হয়। যাস্কের ‘নিরুক্ত’ থেকেই ভারতে অভিধান রচনার সূত্রপাত হয়।

     ভাষাবিজ্ঞানের একটি সংযোগমূলক বিভাগ হল অভিধান বিজ্ঞান। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় অভিধান নির্মাণের প্রক্রিয়া, শব্দচয়ন, অর্থের বিন্যাস, ব্যুৎপত্তি প্রভৃতি আলোচিত হয়, তাকে অভিধান বিজ্ঞান বলে।

আদর্শ অভিধান : ভাষাবিজ্ঞানের দিক থেকে আদর্শ অভিধানের শব্দের তিনটি স্তর থাকবে। যথা-ক শব্দের গঠনগত স্তর খ. অন্বয়গত স্থল গ. বাগার্থগত স্তর।

অভিধানের শ্রেণি : আধুনিক অভিধান নানা রকমের হতে পারে, যেমন : ক. একভাষিক অভিধান (বাংলা থেকে বাংলা অভিধান); খ. দ্বিভাষিক অভিধান (বাংলা থেকে ইংরাজি অভিধান); গ. ইতিহাসভিত্তিক অভিধান; ঘ. বিষয় অভিধান (ইতিহাসে অভিধান, অর্থনীতি অভিধান, উদ্ভিদবিদ্যা অভিধান ইত্যাদি)

বিশিষ্টতা : বর্তমানে একটি শব্দে একাধিক প্রতিশব্দ, তার ব্যুৎপত্তি, স্বীকৃত উচ্চারণ, অর্থপার্থক্য, পদ পরিচয় প্রভৃতির উল্লেখ আধুনিক আদর্শ অভিধানের বৈশিষ্ট্য।

উদাহরণ : যাস্কের ‘নিরুক্ত’, অমরসিংহের ‘অমরকোষ’, রাধাকান্ত দেবের ‘শব্দকল্পদ্রূম’ এবং বাংলায় রচিত ‘চলন্তিকা’, ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’, ‘সংসদ বাংলা অভিধান’, ‘সমার্থ শব্দকোষ’ প্রভৃতি উজ্জ্বল উদাহরণ।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত