[মান – ৫] মাছ ধরার সময় পুকুরঘাটের দৃশ্যের বর্ণনা দাও।

ভূমিকা: ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পটি সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত। গল্পটি যেন রূপকথার স্বপ্নপুরীর মতো। গল্পে বাস্তব ও রোমান্সের অদ্ভুত মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়।

পুকুরঘাটের বর্ণনা: গল্পকথক সুদূর নগর কলকাতা থেকে এসেছিলেন মাছ শিকার করতে। মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে কথক যে ঘাটে এসে বসেন সেই ঘাট শ্যাওলায় আবৃত ছিল। পুকুরের জল ছিল সবুজ রঙের।

গল্পকথক টোপ সমেত বড়শি জলে নামিয়ে বসেছিলেন। সেইসময় তারই মতো শিকারি কয়েকটি প্রাণী সেখানে উপস্থিত ছিল। যেমন,

  • ক] একটি মাছরাঙা পাখি শিকার কাকে বলে তা গল্পকথককে শিখিয়ে দিয়েছিল।
  • খ] একটি সাপ ঘাটের ফাটল থেকে বেরিয়ে পুকুর সাঁতরে ওপারে উঠেছিল।
  • গ] দুটি ফড়িং পাল্লা দিয়ে ফাতনাটার উপর বসবার চেষ্টা করছিল।
  • ঘ] ঘুঘুপাখির ডাকে মাছধরার মনোযোগ নষ্ট হচ্ছিল।

এইরকম ঘটনার মাঝেই হঠাৎ জলের শব্দে গল্পকথক চমকে ওঠেন। যামিনী গল্পকথকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল—“বসে আছেন কেন? টান দিন”। এরপর যামিনী চলে গেলে গল্প কথক খেয়াল করেন বড়শিতে টোপ আর নেই।

ঘটনার এই শেষাংশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই অংশ প্রমাণ করে, গল্প কথকের মাছ শিকার শুধু ব্যর্থ নয়; যামিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কের সূত্রটিও ছিন্ন হতে চলেছে। এককথায় গল্পের এই অংশটুকু বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত