প্রাচীনভারতের জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতচর্চা সম্বন্ধে লেখ।[২০১৮]

প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিদ্যাচর্চা

(১) বিভিন্ন গ্রন্থ—আর্যভট্টের তিনটি গ্রন্থ—আর্যভট্টীয়, আর্যাষ্টশতক এবং দশগীতিকাসূত্র। বরাহমিহিরের—পঞ্চসিদ্ধান্তিকা। ব্রহ্মগুপ্তের—ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্যের—সিদ্ধান্তশিরোমণি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

(২) আর্যভট্ট—জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য আর্যভট্ট স্মরণীয়। তাঁকে ‘গুপ্তযুগের নিউটন’ বলা হয়। পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণের কথা এবং পৃথিবীর আহ্নিক গতির কথা, অক্ষরের দ্বারা সংখ্যা প্রকাশ তাঁর অবদান। এ ছাড়া বর্গমূল, ঘনমূল নির্ণয়, সমান্তর শ্রেণির যোগফল, বৃত্তের পরিধির সঙ্গে তার ব্যাসের অনুপাত, সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের আবর্তন, ত্রিকোণমিতির মান প্রভৃতির আবিষ্কারের জন্য আর্যভট্ট চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

(৩) বরাহমিহির—ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বরাহমিহির। গণিত জ্যোতিষের ক্ষেত্রে বরাহমিহিরের পাঁচখানি গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। এগুলিকে একসঙ্গে বলে ‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’। তাঁর সিদ্ধান্তগুলির নাম হল–‘পৈতামহসিদ্ধান্ত’, ‘বাসিষ্ঠসিদ্ধান্ত’, ‘সৌর বা সূর্যসিদ্ধান্ত’, ‘রোমকসিদ্ধান্ত’, ‘পৌলিশসিদ্ধান্ত’। সিদ্ধান্তগুলি বরাহমিহিরের মৌলিক গ্রন্থ নয়, এগুলি উৎকৃষ্ট সংকলন।

প্রাচীন ভারতের গণিতচর্চা

গণিত বিষয়ের উল্লেখ আছে যেসব গ্রন্থে—আর্যভট্টের ‘আর্যভট্টীয়’ গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে, ‘আর্যাষ্টশতক’-এর তৃতীয় পরিচ্ছেদে। ব্রহ্মগুপ্তের ‘ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত’ গ্রন্থের দ্বাদশ অধ্যায়ে পাটিগণিত, অষ্টাদশ অধ্যায়ে বীজগণিত। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য-এর ‘সিদ্ধান্তশিরোমণি’-তে পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি আলোচিত।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত