[] অদ্বৈত বেদান্তবাদের প্রবক্তা ও কবি শ্রীশংকরাচার্য তাঁর “শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্”-এ দেবী গঙ্গার উদ্দেশ্যে ভক্তিমূলক শ্লোক রচনা করেছেন। এই স্তোত্রে সর্বত্র গঙ্গাকে সম্বোধন করে কবি তাঁর স্তুতি করেছেন এবং কাঙ্খিত বস্তুগুলি প্রার্থনা করেছেন।
[] মহিমা কীর্তন = কবি শংকরাচার্য গঙ্গাদেবীকে নানা বিশেষণে ভূষিত করে বলেছেন – তিনি দেবতাদের ঈশ্বরী, ঐশ্বর্যময়ী, ভগবতী, ত্রিলোক-ত্রাণকারিণী, ত্রিভুবনতারিণী, কলুষনাশিনী, শংকরমৌলিবিহারিণী, হরির চরণকমল থেকে নির্গতা, নির্মলা, পবিত্রা, পুণ্যতরঙ্গা, ভাগীরথী, সুখদা, শুভদা, পতিতোদ্ধারিণী, জাহ্নবী, ভীষ্মমাতা, ত্রিভুবনধন্যা, পারাবারবিহারিণী, নরকনিবারিণী, বসুধাহারস্বরূপা প্রভৃতি।
[] রক্ষাকর্ত্রী = গঙ্গার জল যে পান করে যমরাজ তাকে কখনও স্পর্শ করে না। পাপীদের উদ্ধার করেন গঙ্গা। গঙ্গাভক্তদের নরকযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। পুনরায় মাতৃগর্ভে তাদের আর জন্ম নিতে হয় না। যারা গঙ্গার তীরে বাস করে তাদের নিবাস বৈকুণ্ঠলোকে বলে বুঝতে হবে। সকল ভক্তদের প্রতি গঙ্গার কৃপাদৃষ্টি থাকে।
[] কবির প্রার্থনা = অজ্ঞানী কবিকে দেবী গঙ্গা যেন কৃপা করেন। কল্পলতার মতো গঙ্গা যেন কবির সব রোগ, শোক, তাপ, পাপ, কুমতি, দুষ্কর্ম দূর করেন। এই নদীরূপী মাতার কাছে তিনি ভবসাগর থেকে উদ্ধার প্রার্থনা করেন। সেবকের আশ্রয়স্বরূপা গঙ্গার প্রতি কবির বারবার জয়ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে।