[উ] ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। (১) কেতুম্ (৬টি) এবং (২) সতম্ (৪টি)। অতএব ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মোট দশটি শাখা। সেগুলি হল :
কেন্তুম্ শাখা—(১) কেলটিক, (২) গ্রিক, (৩) ইটালিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্রাইট, (৬) তুখারীয়।
সতম্ শাখা—(৭) বাল্ল্টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, (১০) ইন্দো-ইরানীয়।
পরিচয়
(১) কেলটিক : এই ভাষা এক সময়ে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে ব্যাপক প্রচলিত ছিল। বর্তমান রূপ : আইরিশ ভাষা।
(২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি।
(৩) ইটালিক : ইটালিক শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। বর্তমান রূপ: ইতালীয়, স্পেনীয়, ফরাসি, পোর্তুগিজ ইত্যাদি।
(৪) জার্মানিক : জার্মানিক ভাষার অপর নাম টিউটনিক। এর প্রাচীনতম ভাষা গথিক। ইংরেজি, জার্মান ভাষা এই শাখা থেকে সৃষ্ট।
(৫) হিটাইট : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত।
(৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
(৭) বাল্টো-স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।
(৮) অ্যালবানীয় : গ্রিসের উত্তর-পশ্চিমে আদ্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে এই ভাষাভাষীদের বাস।
(৯) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হল পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ।
(১০) ইন্দো-ইরানীয় : ‘সতম্’ গুচ্ছের শাখাগুলির মধ্যে প্রাচীন সাহিত্যে বিশেষ সমৃদ্ধ হল ইন্দো-ইরানীয় শাখা। ইরানীয় ভাষার নিদর্শন ‘আবেস্তা’ আর ভারতীয় আর্য (আরিয়ান) শাখার নিদর্শন হল ‘বেদ’।