[উ] মূল ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীকে কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনির পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ভাষাবিদ Ascoli প্রধানত দু-ভাগে সর্বপ্রথম বিভাজন করেন। সেগুলি হল (১) কেন্তুম্ গুচ্ছ এবং (২) সতম্ গুচ্ছ।
কেন্তুম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় ইন্দো-ইউরোপীয় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শুধুমাত্র কণ্ঠ্যধ্বনিতে পরিণত হয়, সেই শাখার নাম কেন্তুম্।
(১) ইটালিক : এই শাখার প্রধান ভাষা লাতিন। প্রাচীনতম নিদর্শন কিছু প্রত্নলেখ। (২) গ্রিক : গ্রিস সাম্রাজ্যের ভাষা হল গ্রিক। প্রাচীনতম নিদর্শন : ইলিয়াড ও ওডিসি। (৩) জার্মানিক : এই শাখার প্রাচীনতম ভাষা গথিক। (৪) কেলটিক : এই শাখার প্রধান ভাষা ওয়েল্শ্। প্রাচীনতম নিদর্শন : খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শিলালিপি। (৫) হিট্টাইট (হিট্টীয়) : এশিয়া ও ইউরোপে এই ভাষার প্রসার ছিল। বর্তমানে এটি লুপ্ত। (৬) তুখারীয় : বিংশ শতাব্দীর চিনের অন্তর্গত তুর্কিস্তান থেকে এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার হয়।
সতম/শতম্ গুচ্ছের পরিচয়
যে শাখায় কণ্ঠ্য-তালব্য ধ্বনিগুলি শিসধ্বনিতে পরিণত হয়েছে, সেই শাখার নাম সতম্।
(১) ইন্দো-ইরানীয় : ইন্দো-ইরানীয় ভাষার এক প্রাচীন ভাষা হল আবেস্তীয় এবং বৈদিক ভাষা। গ্রন্থের নাম—জেন্দ আবেস্তা এবং ঋক্বেদ (২) অ্যালবানীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন ষোড়শ শতাব্দীর বাইবেলের অনুবাদ। (৩) আর্মেনীয় : এই ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পঞ্চম শতকে বাইবেলের অনুবাদ। (৪) বাল্টো স্লাভিক : এই ভাষা পূর্ব ইউরোপের অর্থাৎ রাশিয়ার কিছু অংশের মানুষের ভাষা।