ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। [২০১৬] [২০১৮]

[উ]

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা—বিশ্বের বিশাল ভাষাগোষ্ঠী যে আদিম ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে, তার নাম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা। এই ভাষাটির কোনো নিদর্শন এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এই ভাষাটি আনুমানিক ভাষা। সংস্কৃত, আবেস্তা, প্রাচীন পারসিক, গ্রিক, লাতিন, গথিক প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপতত্ত্ব বিশ্লেষণ করে পণ্ডিতগণ একটি কাল্পনিক ভাষার অনুমান করে তার নাম দিয়েছেন ইন্দো-ইউরোপীয়।

            ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বিলুপ্ত হলেও তা থেকে উদ্ভূত ভাষাগুলির তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে ভাষাতাত্ত্বিকগণ ওই মূল ভাষার বিভিন্ন শব্দ কীরূপ ছিল তা অনুমান করেন। যেমন একটি অনুমিত শব্দ হলো *mater (ইন্দো-ইউরোপীয়) > মাতা (সংস্কৃত)।

প্রধান শ্রেণি—প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই ভাষা দশটি শাখার জন্ম দিয়ে বিলুপ্ত হয়। এই দশটি শাখা ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম্’ নামে দুই ভাগে বিভক্ত। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলি এই ‘কেন্তুম্’ এবং ‘সতম’ শাখার অন্তর্গত।

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা—ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দশটি শাখা হল (১) গ্রিক, (২) ইটালিক, (৩) কেলটিক, (৪) জার্মানিক, (৫) হিট্টাইট, (৬) তুখারীয়, (৭) বাল্‌টো-স্লাভিক, (৮) অ্যালবানীয়, (৯) আর্মেনীয়, এবং (১০) ইন্দো-ইরানীয়।

মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্ব বিচারে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা ‘ইন্দো-ইরানীয়’ উপশাখার অন্তর্গত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় শ্রেণির একটি ভাষা। সুতরাং, সংস্কৃত ভাষা একদিকে ইন্দো-ইরানীয় উপশাখার সঙ্গে এবং অন্যদিকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সঙ্গে নিকট সম্পর্কযুক্ত।

মূল্যায়ন—ভাষাতত্ত্ব বিচারে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা ‘ইন্দো-ইরানীয়’ উপশাখার অন্তর্গত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় শ্রেণির একটি ভাষা। সুতরাং, সংস্কৃত ভাষা একদিকে ইন্দো-ইরানীয় উপশাখার সঙ্গে এবং অন্যদিকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সঙ্গে নিকট সম্পর্কযুক্ত।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত