“গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।”—গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ? [২০১৫]

[উত্তর] সূচনা =

কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা ‘অলৌকিক’ পাঠ্যাংশে গল্পকথক তাঁর মায়ের কাছে যে গল্পটি শুনেছিলেন সেই গল্পের কথাই আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।

প্রথম অংশ =

গুরু নানক একবার প্রচন্ড গরমের সময় তাঁর অনুচরদের নিয়ে পথ চলতে চলতে হাসান আব্দালের রুক্ষ-পাথুরে জঙ্গলে এসে পৌঁছোন। সেখানে তাঁর শিষ্য মর্দানা এতই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে যে, গুরু নানক তাকে শত বুঝিয়েও আর-এক পাও নড়াতে পারেন না। এরপর গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা ওই এলাকার একটিমাত্র জলপূর্ণ কুয়োর অধিকারী বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কাছে যায় এবং জল প্রার্থনা করে। কিন্তু মর্দানা ‘পির নানকের সঙ্গী’, জানতে পেরে বলী তখনই তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটার পর গুরু নানক মৃতপ্রায় মর্দানাকে একটি পাথর সরানোর নির্দেশ দেন এবং তখন সেখানে একটি ঝরনার উৎপত্তি ঘটে, অন্যদিকে বলীর কুয়ো জলশূন্য হয়ে যায়। তখন ক্ষিপ্ত বলী গুরু নানককে হত্যার জন্য একটি পাথরখণ্ড নিক্ষেপ করলে গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে হাত দিয়ে পাথরটি থামিয়ে দেন। তাঁর হাতের ছাপবিশিষ্ট পাথরটির নাম ‘পাঞ্ঝাসাহেব’। এবং স্থানটির নামও পাঞ্জাসাহেব বলে পরিচিতি পায়।

দ্বিতীয় অংশ = গল্পটা শুনে লেখকের যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা হল, পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার ঘটনাটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হলেও পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। ব্যাপারটি কথক একেবারেই মেনে নিতে পারেনি।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত