‘হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল।‘—তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তাঁর তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল? [২০২০]

[উত্তর] সূচনা = কর্তার সিং দুগ্‌গাল রচিত গল্পের বাংলা অনুবাদ ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য অংশে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার প্রসঙ্গ এসেছে।

মর্দানা যা করেছিল =

হাসান আব্দালের জঙ্গলে গুরু নানকের সঙ্গে চলতে চলতে তাঁর শিষ্য মর্দানা পথশ্রমে, পরিশ্রমে, গরমে, জলপিপাসায় কাতর হয়ে বসে পড়েছিল। গুরু নানক ধ্যানের মাধ্যমে জেনে তাকে বলেন যে, পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারী নামক দরবেশের কুটিরের কুয়োতে জল রয়েছে। গুরু নানকের কথামতো মর্দানা সেখানে যায়।

বলী কান্ধারী মর্দানার পরিচয় জানতে চাইলে মর্দানা জানায় সে পীর নানকের সঙ্গী। একথা শুনে বলী তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গুরু নানকের কাছে এসে মর্দানা একথা জানালে তিনি পুনরায় নানক দরবেশের অনুচর পরিচয়ে তাকে বলীর কাছে পাঠান। কিন্তু বলী এবারও মর্দানাকে তাড়িয়ে দেয় । মর্দানা তখন গুরু নানকের কাছে ফিরে এসে সব জানায়। এবার গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে মর্দানাকে পুনরায় বলীর কাছে পাঠান। গুরুর আদেশ অমান্য করতে না পেরে মদীনা খুব কষ্ট করে বলীর কাছে পৌঁছে এবারেও জল পায় না। তারপর সে গুরু নানকের কাছে ফিরে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায়।

মর্দানার তেষ্টা মিটেছিল যেভাবে =

গুরু নানক যখন দেখলেন বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানা বারবার জল না পেয়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়েছে, তখন তিনি শান্ত স্বরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে শিষ্যকে সস্নেহে ডেকে সামনে অবস্থিত পাথরটা তুলতে বলেন। গুরুর কথামতো পাথরটা সরাতেই সেকাহ্ন থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এই জলপান করে মর্দানা তৃষ্ণা মেটায়।

গুরু নানক যখন দেখলেন বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানা বারবার জল না পেয়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়েছে, তখন তিনি শান্ত স্বরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি উচ্চারণ করে শিষ্যকে সস্নেহে ডেকে সামনে অবস্থিত পাথরটা তুলতে বলেন। গুরুর কথামতো পাথরটা সরাতেই সেকাহ্ন থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এই জলপান করে মর্দানা তৃষ্ণা মেটায়।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত