[উ] প্রথম অংশ =
কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে অংশটি গৃহীত। গুরু নানক তাঁর হাতের ছোঁয়ায় একটি গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়ের গতিরোধ করেছিলেন এবং আজও সেই পাথরে তাঁর হাতের ছাপ লেগে আছে। এই গল্প শুনে আধুনিক যুক্তিবাদী লেখকের মনে হয়েছিল, এই কাহিনি বানানো এবং পরবর্তীকালে ওই পাথরের গায়ে কেউ ওই ছাপ খোদাই করেছে। কারণ পাথরে হাতের ছোঁয়ার ছাপ থাকার কাহিনি লেখকের অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছিল।
দ্বিতীয় অংশ =
লেখকের এরূপ ধারণা যে ভ্রান্ত ছিল, তা পরবর্তীকালে লেখকের মায়ের বান্ধবীর মুখে একটি ঘটনা শোনার ফলে বোঝেন। দূরের একটি শহরে ইংরেজরা নিরস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের উপর গুলি চালায় এবং বিপ্লবীদের বন্দি করে অন্যত্র পাঠানো হয়। তারা ছিল তৃষ্ণার্ত, একইসঙ্গে ক্ষুধার্ত ও মৃতপ্রায়। ফিরিঙ্গিরা হুকুম দেয়—বন্দিরা মারা গেলেও ট্রেন কোথাও থামানো হবে না।
কিন্তু পাঞ্জাসাহেবের অধিবাসীরা অভুক্ত বন্দিদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করে রাখে। কিন্তু আবেদন-নিবেদন করেও তারা ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন শহরবাসী রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তাদের বুকের উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা চলে যায় এবং অবশেষে দাঁড়ায়। পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের জীবনের বিনিময়ে স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানোর কাহিনি শোনার প্রেক্ষিতে নিজের ধারণা যে ভ্রান্ত তা বুঝতে পারেন গল্পকথক এবং এরপর পূর্বের ঘটনাটি তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে।