“আর একবার এক মারাঠি তামাশায় দেখেছিলাম”—বক্তা মারাঠি তামাশায় কী দেখেছিলেন? বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে মারাঠি তামাশার কথা বলেছিলেন? [২০১৬]

[উ] প্রথম অংশ— ‘বিভাব’ নাটকের নাট্যকার শম্ভু মিত্র মারাঠি তামাশায় এক অভিনব নাট্যশৈলীতে দেখেন—মঞ্চসজ্জা, দৃশ্যপট ছাড়াই নাটক জনমনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম।

মারাঠি তামাশায় তিনি দেখেছেন—দুর্ভাগ্যপীড়িত এক কৃষক জমিদারের কাছে অনুনয়-বিনয় করলেও, জমিদার বিচলিত হয় না। তখন হতাশ হয়ে কৃষক ভগবানের কাছে নালিশ জানাতে যায়। এক আশ্চর্য রীতিতে একটা তক্তার উপর উঠে, কয়েক পা ঘুরে সে বুঝিয়ে দেয় অনেকটা পথ সে অতিক্রম করে আসে। কাল্পনিক এক মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে সে নিজের দুঃখ-বেদনার কথা নিবেদন করে। অন্যদিকে যে অভিনেতা জমিদারের ভূমিকায় অভিনয় করছিল, তাকেই এখন পুরোহিতের বেশে দেখা যায়। দর্শকের সামনেই মুখে দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে সে অভিনয় শুরু করে।

এই অভিনয়রীতিতে আপাত অসঙ্গতি দর্শকদের মনঃসংযোগে কোনো বিঘ্ন ঘটায় না। তামাশায় এই অভিনব নাট্যরীতির প্রয়োগ নাট্যকার শম্ভু মিত্রকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল।

দ্বিতীয় অংশ—‘বিভাব’ নাটকের শুরুতে নাট্যকার নাটক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় একটা ভালো মঞ্চ, সিনসিনারি, আলো, ঝালর, ইত্যাদির অভাবের কথা বলেন। তাই স্বল্প খরচে নাট্যাভিনয়ের প্রসঙ্গে শম্ভু মিত্র মারাঠি তামাশার উল্লেখ করেছিলেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত