--------------------------------------------------
--------------------------------------------------


--------------------------------------------------
--------------------------------------------------

“আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত ‘অভাব’ নাটক।‘ অভাবের চিত্র ‘বিভাব’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো। [২০১৫]

[উ] শম্ভু মিত্রের পাঠ্য ‘বিভাব’ নাটকটির শুরুতে নাট্যকার নাটক অভিনয়ের কৈফিয়ত হিসেবে কিছু বলেন এবং সেখানেই উল্লেখ করেন যে, নাটকের প্রকৃত নাম কী হওয়া উচিত। ‘বিভাব’ নাটকের বিষয়বস্তুতে যে একান্ত অভাবের চিত্র ফুটে উঠেছে, তা পাঠকের মনে রসনিষ্পত্তির কারণ।

অভাবের চিত্র

বিশ শতকে বাংলা নাট্য আন্দোলনে অভিনয়রীতি এবং নাট্যশৈলীতে যে অভিনবত্ব আসে তার একটি বড়ো কারণ ছিল নাটক মঞ্চস্থ করার প্রয়োজনীয় অর্থ ও পরিকাঠামোর অভাব। নাটকের সুষ্ঠু উপস্থাপনা এবং একটি ভালো প্রযোজনার জন্য ভালো মঞ্চ, দৃশ্য-অনুযায়ী মঞ্চসজ্জা, আলোক প্রক্ষেপণের নান কৌশল। কিন্তু অর্থনৈতিক দীনতা নাটক অভিনয়ে একটি বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবু ভালো প্রযোজনার স্বার্থে নাটকের কলাকুশলীরা একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে নাটক অভিনয় করতেন।

            অনেকক্ষেত্রে নাটক মঞ্চস্থ করার প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় হলেও শান্তি নেই। কারণ সরকার নাটক প্রযোজনার জন্য ট্যাক্স নেবে। নাট্যকারের আপসোস, “তাঁরা পেশাদারের কাছে খাজনা নেন না। কিন্তু আমাদের কাছে নেন। কারণ , আমরা নাটক  নিয়ে ব্যবসা করি না..।”

এই কারণেই শম্ভু মিত্র প্রথা ভেঙে নতুন আঙ্গিকের পরিকল্পনা করেন। সেই অভিনব নাট্যরীতিতে বড়ো মঞ্চ, মঞ্চসজ্জা, দৃশ্যপট, বেশভূষা থাকবে না। আর্থিক অভাব নাটকের আঙ্গিকের ঐশ্বর্যে ঢেকে যাবে। ‘বিভাব’ নাটকের কাহিনিবস্তুতে আঙ্গিকের এই বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একারণে ‘বিভাব’ নাটকের ‘অভাব’ নামকরণে নাট্যকারের বিদ্রুপ ও শ্লেষ ধ্বনিত হয়।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত