“বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল”—চৌকিদার কী পরামর্শ দিয়েছিল? সেই পরামর্শ মেনে কী করা হয়েছিল ?

[উ] প্রথম অংশ

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে গ্রামের প্রান্তে থুখুড়ে বুড়ির মৃতকল্প দেহ নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে গ্রামের লোকেদের মধ্যে সংশয় দেখা দিলে, চৌকিদার অবজ্ঞার সুরে বলে—“ফাঁপিতে এক ভিখিরি পটল তুলেছে, তার আবার থানা-পুলিশ!” তারপর চৌকিদার পরামর্শ দেয়, বুড়ির মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য থানায় খবর দিয়ে লাভ নেই। কারণ পাঁচ ক্রোশ দূর থেকে পুলিশ আসতে যে সময় লাগবে, তাতে মৃতদেহ পচে গন্ধ ছাড়বে। তাই চৌকিদার বুড়ির দেহ নদীতে ফেলে আসার পরামর্শ দেয়।

দ্বিতীয় অংশ

চৌকিদারের নির্দেশে গ্রামের মানুষ বুড়ির মৃতকল্প দেহকে চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে মাঠ পেরিয়ে দু-মাইল দূরে নদীর চড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা বুড়ির মৃতদেহ বালিতে ফেলে রেখে আসে। তারপর সেই রোদে তপ্ত বালির উপর পড়ে থাকা মৃতদেহের উপর কখন ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন নামবে তার জন্য দিগন্তে চোখ রেখে অপেক্ষা করতে থাকে।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত