‘ভারতমাতা’ চিত্রে কীভাবে জাতীয়তাবোধ ফুটে উঠেছে সে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

[উত্তর] পরাধীন ভারতবর্ষে চিত্রশিল্পীরা চিত্রের মাধ্যমেও ভারতীয় জাতীয়তাবোধ ফুটিয়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিকারী চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কিত ‘ভারতমাতা’চিত্রটি। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভারতমাতা’ চিত্রটির মাধ্যমে বিশ শতকে জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটান। ‘ভারতমাতা’হলেন ভারতবর্ষের প্রতীক।

ভারতমাতা চিত্র = ‘ভারতমাতা’এঁকেছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বঙ্গমাতা’চিত্র অঙ্কন করেন। পরে স্বদেশি আন্দোলনের সময় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে তা ‘ভারতমাতা’রূপে খ্যাতি লাভ করে।

ভারতমাতার চিত্রের বর্ণনা = ভারতমাতা হলেন গৈরিক বসন পরিহিতা দেবী। ভারতমাতার চারটি হাত। তিনি চারটি হাতে ধরে আছেন ধানের গোছা, সাদা কাপড়, বেদ ও জপমালা। তিনি সবুজ পৃথিবীর ওপর দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর পায়ের কাছে চারটি পদ্মফুল এবং পিছনে নীল আকাশ।

          ভারতমাতা ভারতবর্ষের প্রতীক। তিনি তাঁর সন্তানদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও দীক্ষা প্রদান করেন। ভারতমাতা চিত্রটি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকালে জাতীয়তাবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে জাতীয়তাবোধের সঞ্চার করে। ভগিনী নিবেদিতা ‘ভারতমাতা’-র খুব প্রশংসা করেছিলেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত