‘গোরা’ উপন্যাসে কীভাবে জাতীয়তাবোধ ফুটে উঠেছে—সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।

[উত্তর] যে সব মনীষীদের লেখায় ভারতীয় জাতীয়তাবোধ ফুটে উঠেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গোরা’ উপন্যাস। ‘গোরা’ উপন্যাসে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্র গোরার কথা ও কার্যকলাপের মাধ্যমে উগ্র জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে গঠনমূলক জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন।

রচনা ও প্রকাশ = ‘গোরা’উপন্যাসটি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘গোরা’উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে।

গোরা উপন্যাসের মূল বিষয় জাতীয়তাবোধ = বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মানসলোকের প্রতীকি চরিত্র হল এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গোরা। জাতীয়তাবোধের বিকাশে বহু উপন্যাসের মধ্যে গোরা উপন্যাসটি বিশিষ্টতার দাবি রাখে। এই উপন্যাসে ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের, সমাজের সঙ্গে ধর্মের বিরোধ ও সমন্বয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাতিভেদ, বর্ণবৈষম্য, অভাব ও দারিদ্র্যের সমাধানের ইঙ্গিতও রবীন্দ্রনাথ দিয়েছেন। এই উপন্যাসে শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের মানসিকতা ফুটে উঠেছে।

রবীন্দ্রনাথের চেতনায় ভারতের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ ব্যক্ত হয়েছে। একটি জাতির সামগ্রিক পরিচয় গোরা চরিত্রের মধ্যে দিয়ে চিত্রিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গোরা’ উপন্যাসের মাধ্যমে ভারতীয়দের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এক দিক নির্দেশ করেছেন। তাঁর নির্দেশিত পথ—সেবা, ভক্তির।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত