জাতীয়তাবোধ বিকাশের ক্ষেত্রে ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটির ভূমিকা লেখো।

[উত্তর] ভূমিকা = জাতীয়তাবোধ জাগরণের ক্ষেত্রে বহু মনীষীর লেখা গ্রন্থের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের লেখা ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে।

বিষয়বস্তু = ভারতের সমাজ-সংস্কৃতি-ধর্ম ও রামকৃষ্ণের বাণী, ভারতীয় জীবনের আদর্শ—এই গ্রন্থের মূল বিষয়। বৈদিক যুগ থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত ভারতীয় সমাজের রূপরেখা এই গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে।

জাতীয়তাবাদ = স্বামী বিবেকানন্দ সমগ্র দেশবাসীকে এক রূপে দেখেছিলেন। সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে সমগ্র দেশবাসীর প্রতি তিনি বলেন, “হে ভারত …ভুলিও না নীচ জাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই।”

মুক্তির বাণী = তিনি দেশকে মাতৃরূপে কল্পনা করেন। দেশের মুক্তির জন্য আত্মবলিদানের আদর্শ তুলে ধরে তিনি সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

অবদান = বিদেশি ইংরেজ শাসনে নির্যাতিত, শোষিত ভারতবাসীকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি যে বাণী দেন, তা পরবর্তীকালের বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রেরণা জোগায়। তাঁর বাণীর মন্ত্রে ভারতবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে ওঠে। এজন্য রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁকে ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক’বলে অভিহিত করেছেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত