[ভূমিকা]
শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত ‘চোরচত্বারিংশীকথা’ গ্রন্থের প্রথমভাগ ‘বনগতা গুহা’ পাঠ্যাংশের সূচনায় অলিপর্বা ও কশ্যপের আর্থিক অবস্থা বর্ণিত হয়েছে।
[কশ্যপ ও অলিপর্বা]
কশ্যপ ও অলিপর্বা ছিল পরস্পর সহোদর ভাই। তাদের পিতার খুব বেশি ধনসম্পদ ছিল না। তাই দারিদ্র্য ছিল তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এইরকম এক পরিস্থিতিতে তাদের বৃদ্ধ পিতা দুই পুত্রের মধ্যে সম্পত্তি সমানভাবে ভাগ করে দিলেন। যদিও তার দুই পুত্র কশ্যপ ও অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা সমপর্যায়ে থাকেনি।
[কশ্যপের আর্থিক অবস্থা]
কশ্যপ কোনো এক ধনীর কন্যাকে বিবাহ করে। এর ফলে তিনি খুব শীঘ্রই শ্রেষ্ঠ বণিকদের সমান ধনবান হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন রকমের বিলাসিতার মাধ্যমে কালযাপন করতে লাগলেন। অধিক ধনসম্পত্তির কারণে কশ্যপের কাছে কোনো জিনিস দুষ্প্রাপ্য ছিল না।
[অলিপর্বার আর্থিক অবস্থা]
অলিপর্বা পিতৃসূত্রে অল্প পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল। তার উপর তিনি বিয়ে করেছিলেন এক দরিদ্র কন্যাকে। ফলে দারিদ্র্য তার পিছু ছাড়ে নি। কুটিরে অলিপর্বা স্ত্রী-সন্তানসহ বাস করতেন। অতিকষ্টে তিনি দিনযাপন করতেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ কেটে নগরে সেগুলি বিক্রি করতেন। অর্থাৎ অলিপর্বা পেশায় ছিলেন কাঠুরে। কাঠ বিক্রির প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনো রকমে তার সংসার অতিবাহিত হতো। যদিও পাঠ্য গল্পের শেষে অলিপর্বার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।