কাবাডির ইতিহাস লেখ



[প্রশ্ন] কাবাডির ইতিহাসের পরিচয় দাও।

 

পরিচয়—পুরাণে কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ গোপবালকদের সঙ্গে হা-ডু-ডু খেলতেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে কবাডি নানান নামে পরিচিত। দক্ষিণ ভারতে চি-ডু-গু-ডু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটে হু-টু-টু, কেরলে ওয়ান্ডিকালি, উত্তর ভারতে কবাডি এবং পশ্চিমবঙ্গে হা-ডু-ডু। এছাড়াও শ্রীলঙ্কায় খেলাটি গু-ডু, থাইল্যান্ডে থিকাব, বাংলাদেশে চু-কিত-কিত নামে প্রচলিত।

কাবাডিচর্চা—১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অষ্টম সর্বভারতীয় অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় প্রথম কবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ইডেন উদ্যানে মেয়েদের কবাডি প্রতিযোগিতা প্রথম আয়োজিত হয়। ১৯৫৯ খ্রি. School games Federation of India তাঁদের ক্রীড়াসূচিতে কবাড়িকে একটি নির্ধারিত ক্রীড়া হিসাবে গ্রহণ করেন। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত All India Kabaddi Federation ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে Amateur Kabaddi Federation of India (AKFI) নামে পরিচিত হয়। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে গড়ে ওঠে Asian Amateur Kabaddi Federation.

১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে কবাডি মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিষয় হিসেবে স্থান পায় এবং তাতে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ রানার্স হয়। ১৯৯০ সালের বেজিং এশিয়ান গেমসে কবাডি মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে।

নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গে কবাডির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করেন। ভূপতি মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সরোজমোহন রায়চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে কবাডি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠে। বাংলার কবাড়িতে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম ফণী ভট্টাচার্য, অচিন্ত্য সাহা, রণজিৎ ধর।

  

——————————————–

দ্বাদশ শ্রেণির অন্য প্রশ্ন

——————————————–

Join Telegram (demo)

Join Facebook (open)

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত