টীকা লেখ—তরিকা-ই-মহম্মদীয়া

[] অর্থ= তরিকা-ই-মহম্মদীয়া কথাটির অর্থ হল মহম্মদের পথ। ‘তরিকা’ = পথ।

[] আন্দোলন= উত্তর ভারতে শাহ সৈয়দ আহমেদ যে ধর্মীয় জিহাদ আন্দোলন শুরু করেন, তা তরিকা-ই-মহম্মদীয়া আন্দোলন নামে পরিচিত। বাংলায় এটি ধর্মপ্রচারের মাধ্যমে সচল ছিল।

[] আন্দোলনের নেতা= বাংলায় এই আন্দোলনের দুই অন্যতম নেতা হলেন—এনায়েত আলি এবং কেরামত আলি। এঁরা কোরান-হাদিস-এর নির্দেশমতো মহম্মদের পথে মানুষকে চালিত করতে ধর্মপ্রচারের বন্যা বইয়ে দেন।

[] অঞ্চল= এনায়েত আলি ২৪ পরগনা, যশোর, রাজশাহি, পাবনা, ফরিদপুর এবং কেরামত আলি নোয়াখালি, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ইত্যাদি এলাকায় আন্দোলনের আদর্শ ছড়িয়ে দেন। এই আন্দোলনের প্রভাবে গ্রামে গ্রামে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নতুন করে পালন করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

[] মূল বৈশিষ্ট্য= ফরাজি ও ওয়াহাবি আন্দোলনের সঙ্গে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া আন্দোলনের কিছু অমিল ছিল। ফরাজি ও ওয়াহাবিরা  ‘মহম্মদের শিক্ষা’র থেকে ‘কোরানের শিক্ষা অর্থাৎ ‘ফরজের’ ওপর বেশি গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ আন্দোলনের নেতা এনায়েত আলি ও কেরামত আলি শুধুই ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলার মুসলিম সমাজকে শুদ্ধিকরণ করতে এবং সাধারণ মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানকে বিশুদ্ধভাবে পালনে উৎসাহিত করেছিলেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত