“মহারাজ দীয়তাং দয়ার্দ্রং চিত্তম্‌।”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য লেখ।

[] শ্রীকৃষ্ণমাচার্য প্রণীত পঞ্চমাঙ্কের ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’-এর প্রথম অঙ্কে কন্যার বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী তার বাবা ইন্দুশর্মা রাজা ইন্দ্রবর্মার কাছে এই বিনম্র আবেদন করেছিল যে, রাজা যেন ইন্দুশর্মার প্রতি একটু মনোযোগ দেন এবং তাঁর প্রার্থনা পূরণ করেন।

[] প্রসঙ্গ–রাজা ইন্দ্রবর্মার সঙ্গে কনকলেখার শীঘ্রই বিবাহ সম্পন্ন হবে। কিন্তু রাজার আর ধৈর্য ধরে না। তাই কনকলেখা তাঁকে নানাভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। এমন সময় বিচারপ্রার্থী হয়ে এক বৃদ্ধ ক্রুদ্ধ ও শোকাবিষ্ট হয়ে তাঁর মেয়ে কৌমুদীকে নিয়ে রাজার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ফলে রাজা ও কনকলেখার বার্তালাপ বন্ধ হয়ে যায়।

[] তাৎপর্য–রাজা ইন্দ্রবর্মা কর্মব্যস্ত মানুষ। তাই তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। রাজা বিচারপ্রার্থী ইন্দুশর্মাকে দেখে বুঝতে পারেন তিনি কোনো কাজের জন্য রাজার কাছে এসেছেন। প্রথমে ইন্দুশর্মা হাত তুলে রাজার বিজয় কামনা করেন। রাজাও প্রতি-নমস্কার জানিয়ে বলেন, তাঁকে কিছু কার্যের প্রার্থী বলে রাজার মনে হয়েছে। তখন ইন্দুশর্মা মেয়ে কৌমুদীর পরিচয় দেন এবং বলেন যে, কৌমুদী তার আদেশ লঙ্ঘন করে খুব দুঃখ দিয়েছে। রাজা যেন একটু সময় বের করে ইন্দুশর্মার কথা শোনেন এবং অবাধ্য মেয়ের দেশাচার লঙ্ঘনের জন্য রাজদণ্ড দেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত