“নাড়িকাঽপি যুগায়তে”—বাক্যটি পাঠ্যাংশ অবলম্বনে বিশ্লেষণ করো। [২০১৮]

[] দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃত পণ্ডিত কৃষ্ণমাচার্য রচিত ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাটকের প্রথম অঙ্ক থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।

[] প্রসঙ্গ : অবন্তীরাজ ইন্দ্রবর্মা কনকলেখার প্রেমে আসক্ত। তাদের বিবাহের শুভদিনও ধার্য হয়েছে। কিন্তু সময় যেন কাটতেই চাইছে না। রাজা ও কনকলেখা রাজপ্রাসাদে সেই কথাই বলেছিলেন। আর চারদিন কেটে গেলে চাঁদ ক্ষীণ হয়ে যাবে, তারপর বিবাহের শুভক্ষণ আসবে। কিন্তু প্রতীক্ষারত রাজা ধৈর্যহীন হয়ে পড়েছেন। তিনি কনকলেখাকে বলেছেন এক ক্ষণ (অল্প একটু) সময়ও যেন এক যুগ বলে মনে হচ্ছে, “নাড়িকাঽপি যুগায়তে।”

          ছয় ক্ষণ বা ২৪ মিনিট পরিমিত সময়কে ‘নাড়িকা’ বলে। তবে নাট্যাংশে সামান্য ক্ষণ বা এক দণ্ডকাল অর্থ প্রকাশিত হয়েছে।

যুগায়তে অর্থাৎ এক যুগ হয়ে যাচ্ছে। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি–এই চারটি এক-একটি যুগ।

[] এখানে অবন্তীরাজ ইন্দ্রবর্মার ধৈর্যহীনতার পরিচয় পাই। চারদিন বাকি থাকলেও রাজা মনমরা। কামনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি চাঁদকে অতি নিষ্ঠুর বলছেন। রাজা সামান্য বিলম্বও সহ্য করতে পারছেন না। তাঁর কাছে ‘নাড়িকা’ অর্থাৎ এক দণ্ডকালও এক যুগ বলে মনে হচ্ছে, বিষাদগ্রস্ত রাজার ব্যাকুলতা তাঁর কথার মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত