‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশের চরিত্রগুলির পরিচয় দাও। [২০১৮]

[] সংস্কৃত পণ্ডিত আর কৃষ্ণমাচার্য বিরচিত ‘বাসস্তিকস্বপ্নম্’ নাটকে নির্বাচিত পাঠ্যাংশে আমরা মোট পাঁচটি চরিত্র পাই, সেগুলি হল – রাজা ইন্দ্রবর্মা, তাঁর ভাবী স্ত্রী কনকলেখা, প্রমোদ, ইন্দুশর্মা ও কৌমুদী।

[] রাজা ইন্দ্রবর্মা : অবন্তীরাজ ইন্দ্রবর্মা একজন প্রেমিক পুরুষ। কনকলেখার সঙ্গে বিয়ে হতে মাত্র চারদিন বাকি। তাতেই তিনি উৎকণ্ঠায় পীড়িত। রাজা হিসাবে সকলকে সমান চোখে দেখেন। নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অসীম। কনকলেখার কথাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রজাবৎসল রাজা শত ব্যস্ততার মধ্যেও বৃদ্ধ ইন্দুশর্মার প্রার্থনায় গুরুত্ব দেন। সহমর্মী রাজা কৌমুদীর কথা মন দিয়ে শুনেছেন, আবার সুশাসক হয়ে পিতার অবাধ্য কৌমুদীকে কঠোর শাস্তির ইঙ্গিত করেন। সংগীতের প্রতি তাঁর অনুরাগ অসীম।

[] কনকলেখা : রাজা ইন্দ্রবর্মার বাগদত্তা কনকলেখা যথার্থ গৃহিণীর মতো ঘরের মঙ্গল চেয়ে রাজাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। আনন্দপ্রিয়া কনকলেখা উৎসবে রাজাকে সাহায্য করেন। তাঁর মধ্যে রাজকর্তব্য জ্ঞান অসীম।

[] প্রমোদ : রাজা ইন্দ্রবর্মার যোগ্য অনুচর প্রমোদ রাজাদেশ পালনে তৎপর হলেও প্রভুকে সম্মান করতে ভুলে যায় না।

[] ইন্দুশর্মা : কৌমুদীর বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ পিতা ইন্দুশর্মা অত্যন্ত রাগী এবং মেয়ের আচরণে ক্রুদ্ধ ও শোকাহত। কিন্তু রাজাকে সম্মান করতে ভোলেননি। ইন্দুশর্মা আদর্শ পিতা হলেও স্নেহশীলা কন্যার প্রতি কঠোর আচরণ করেননি বরং রাজসমীপে শাস্তির প্রার্থনা করেছেন।

[] কৌমুদী : অল্প বয়সি কৌমুদী তার প্রেমিক বসন্তকে গভীরভাবে ভালোবাসে ৷ প্রেমের প্রতি সে একনিষ্ঠ। রাজার ভয়ে নিজের পছন্দ থেকে সরে আসেনি। এতে তার সাহসিকতা বা নির্ভীকতার পরিচয় পাই। তার মধ্যে শালীনতা বা শিষ্টাচারবোধ যথেষ্ট ছিল। আদর্শ প্রেমিকার মতো প্রাণ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত ছিল।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত