‘বাসন্তিকস্বপ্নম্‌’ নাট্যাংশের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লেখ। [২০১৭]

[] শ্রীকৃষ্ণমাচার্য পাঠ্য ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশের মাধ্যমে পাঠকদের কাছে সময়োপযোগী ধ্যান-ধারণা তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন।

[] অবন্তী দেশের রাজা ইন্দ্রবর্মা ও কলকলেখার চারদিন বাদে অমাবস্যা তিথিতে শুভ পরিণয় সম্পন্ন হবে। কিন্তু রাজার এই চারদিন আর কাটে না। তবে কনকলেখা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, ওই চারদিন স্বপ্নের মতো কেটে যাবে। তাই রাজা অবস্তী নগরে মহোৎসবের আয়োজন করতে বলেন তাঁর পরিচারক প্রমোদকে।

এমন সময় ক্রুদ্ধ ও শোকার্ত বৃদ্ধ ইন্দুশর্মা তার মেয়ে কৌমুদীর বিরুদ্ধে বিচারের আশায় তাকে সঙ্গে নিয়ে রাজার কাছে হাজির। তাঁর অভিযোগ হল তাঁর কন্যা কৌমুদী পিতার পছন্দ করা পাত্র মকরন্দকে বিবাহ করতে চাইছে না। তাই সেই অধম কন্যার শাস্তি চান।

রাজা ইন্দ্রবর্মা কৌমুদীকে নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। কিন্তু কৌমুদী তার পছন্দমতো যুবক বসন্তকে বিবাহ করতে চায়। রাজা ইন্দ্রবর্মা কৌমুদীর সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করতে বলেন। তা যদি সে না-করে তবে তার মৃত্যু অনিবার্য। অথবা যতদিন সে বেঁচে থাকবে চিরকুমারী হয়ে বেঁচে থাকতে হবে, যেটা তার মতো সুন্দরী অল্পবয়সি মেয়ের মঙ্গল করতে পারে না।

কৌমুদী মৃত্যুকে ভয় পায় না। সে বসন্তকেই বিয়ে করবে। তার জন্য সে নিজের জীবন পর্যন্ত ত্যাগ করতেও প্রস্তুত। এমন সময় সংগীতের আসরে তাঁদের ডাক পড়ে। তখন রাজা কৌমুদীকে আবার পিতার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে পরামর্শ দেন। তা না হলে রাজদণ্ডস্বরূপ মৃত্যু অবধারিত–এই বলে সেই স্থান ত্যাগ করেন।

error: সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত